চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে স্মার্টফোনের চিপসেট বাজারজাতে তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিকে (টিএসএমসি) ছাড়িয়ে গেছে স্যামসাং ইলেকট্রনিকস। সম্প্রতি এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের তথ্যানুযায়ী, প্রথম প্রান্তিকে স্মার্টফোনের জন্য অ্যাপ্লিকেশন প্রসেসর থেকে শুরু করে সিস্টেম অন চিপ উৎপাদনে ৫ ন্যানোমিটার বা তার থেকেও জটিল প্রক্রিয়া ব্যবহারের মাধ্যমে স্যামসাং ৬০ শতাংশ বাজার নিজেদের দখলে রেখেছে। অন্যদিকে টিএসএমসির দখলে ছিল ৪০ শতাংশ।
স্যামসাংয়ের বর্তমান অবস্থানের সঙ্গে এক বছর আগের আকাশ-পাতাল পার্থক্য। ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকে স্যামসাংয়ের বাজার হিস্যা ছিল মাত্র ৮ দশমিক ৬ শতাংশ। অন্যদিকে ৯১ দশমিক ৪ শতাংশ নিয়ে শীর্ষে ছিল টিএসএমসি। মূলত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তি জায়ান্টটির মোবাইল ডিভিশনে স্মার্টফোনের জন্য চিপের ব্যাপক চাহিদা থাকায় বাজার হিস্যায় এ উন্নতি সম্ভব হয়েছে। চাহিদার কারণে প্রথম প্রান্তিকে স্যামসাং ৭ কোটি ৪০ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন বাজারজাত করেছে, যা কভিড-১৯ মহামারী-পূর্ববর্তী স্তরের কাছাকাছি।
স্যামসাং তার মিড ও হাই রেঞ্জের স্মার্টফোনে ৫ ন্যানোমিটার বা তার থেকেও আধুনিক চিপ ব্যবহার করেছে। অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে লজিক চিপ ব্যবসার কারণে স্যামসাংয়ের ফাউন্ড্রি সার্ভিস মুনাফা অর্জন করেছে বলে অনুমান করছে কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চ। প্রতিষ্ঠানটির তথ্যানুযায়ী, গ্যালাক্সি এস২২ সিরিজের স্মার্টফোনগুলোর জন্য কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ১ চিপের সঙ্গে ৪ ন্যানোমিটার প্রযুক্তিতে তৈরি স্যামসাংয়ের চিপের বাজারজাতও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। উল্লেখ্য, প্রথম প্রান্তিকে স্যামসাংয়ের প্রতি ৪টি গ্যালাক্সি এস২২ স্মার্টফোনের ৩টিতে কোয়ালকমের চিপসেট ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, গ্যালাক্সি এ৫৩ ও এ৩৩ সিরিজের মিডরেঞ্জের স্মার্টফোনের জন্য স্যামসাং ৫ ন্যানোমিটার প্রযুক্তিতে এক্সিনোস ১২৮০ চিপ তৈরি করেছিল। এটিও স্যামসাংয়ের বাজার হিস্যা বাড়াতে অবদান রেখেছে। অন্যদিকে তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি মিডিয়াটেকের ডাইমেনসিটি ৯০০০ সিস্টেম চিপ উৎপাদনে ৪ ন্যানোমিটার প্রসেস নোড ব্যবহার শুরু করে। কাউন্টারপয়েন্টের তথ্যানুযায়ী, কোয়ালকমের চাহিদা বাড়ার সঙ্গে টিএসএমসি তাদের ৪ ন্যানোমিটার নোডভিত্তিক স্মার্টফোন চিপসেটের বাজারজাতও বেড়ে যাবে।
সামগ্রিকভাবে স্মার্টফোনের চিপসেট উৎপাদন বাজারে প্রথম প্রান্তিকে স্যামসাংয়ের বাজার হিস্যা ছিল মাত্র ৩০ শতাংশ। যেখানে ৭০ শতাংশ হিস্যা নিয়ে শীর্ষে ছিল টিএসএমসি।