বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্মার্টফোন নির্মাতা কোম্পানি স্যামসাংয়ের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান মনোনীত হয়েছেন লি জে ইয়ং। এর মধ্য দিয়ে তৃতীয় প্রজন্মের মতো কোম্পানিটির দায়িত্ব প্রতিষ্ঠাতা পরিবারে রয়ে গেল।
ঘোষণাটি এমন এক সময়ে এল যখন মুদ্রাস্ফীতির জন্য পণ্যের চাহিদা হ্রাস, সুদের হার বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক মন্দাবস্থা পার করছে স্যামসাং।
২০১৭ সালে ঘুষ ও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হন লি। ২০৭ দিন কারাগারে থেকে গত বছরের আগস্টে মুক্তি পান তিনি।
তখনকার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জাতীয় স্বার্থ বিবেচনা করেই মুক্তি দেয়া হয়েছে লিকে। সে হিসেবে ঘোষিত রায়ের অর্ধেক সাজা ভোগ করেন তিনি।
করোনাভাইরাসের আঘাতে জর্জরিত দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতি ও বিশ্ববাজারে প্রভাব ফিরিয়ে আনতে ওই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়োল তাকে ক্ষমা করেন।
স্যামসাং গ্রুপের চেয়ারম্যান লি কুন হি ২০২০ সালে মারা যান। তার ছেলে লি জে ইয়ং ২০১২ সাল থেকেই কোম্পানিটির সহ-পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। ২০১৪ সালে বাবা অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি কার্যত প্রধানের দায়িত্ব তুলে নেন।
দায়িত্ব নেয়ার পর স্যামসাংয়ের দুটি কোম্পানিকে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেন লি। তবে সিদ্ধান্তের বিরাধিতা করে অংশীদাররা। সেই সময়ে প্রতিষ্ঠানে পারিবারিক আধিপত্য ধরে রাখার জন্য তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পাক হে গান আর তার সহকারীকে ৬০ লাখ ডলার ঘুষ দেন বলে অভিযোগ আসে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবারের পরিসংখ্যান বলছে, কোম্পানিটির আয়ের সূচক ৩১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। অনেক ব্যাপারেই দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। আগামী বছর পর্যন্ত বিশ্ব অর্থনীতির দুরবস্থার জন্য এই অনিশ্চয়তা থাকবে বলেই মনে করছে বিশ্লেষকরা।