প্রযুক্তির উত্কর্ষের যুগে স্মার্টফোনে বেশি মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা বর্তমানে গ্রাহক চাহিদার শীর্ষে। সেদিক থেকে উৎপাদনকারীরা বর্তমানে ২০০ মেগাপিক্সেলে ঝুঁকছে। তবে এর মাঝে কিছু ব্যতিক্রমও রয়েছে। গুঞ্জন রয়েছে অনর ৮০ প্রো প্লাসে ১৬০ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা থাকতে পারে। সম্প্রতি অনর থেকেও ৮০ প্রো ডিভাইসেও সেন্সরটি ব্যবহারের কথা নিশ্চিত করা হয়েছে। খবর গিজচায়না।
চীনের বাজারে ২৩ নভেম্বর অনর ৮০ সিরিজ উন্মোচন করা হবে। ব্র্যান্ডটি ভ্যানিলা, এসই, প্রো ও প্রো প্লাস মডেলগুলো ঘোষণা করবে। এগুলোর মধ্যে অনর ৮০ প্রো প্লাস নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে থাকলেও স্ট্যান্ডার্ড প্রো ভার্সনগুলোও বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
উইবোতে দেয়া এক পোস্টে স্মার্টফোনের বৈশিষ্ট্য নিশ্চিত করেছে হুয়াওয়ে। সেখানে অনর ৮০ প্রোতে সেন্টার অ্যালাইনড বা ডিভাইসের মাঝামাঝি অবস্থানে ডুয়াল ক্যামেরা সেটআপ সম্পর্কে জানা গিয়েছে। ১৬০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা ব্যবহারের বিষয়টি পরিষ্কার হলেও রিয়ারের ক্যামেরাসংক্রান্ত বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রো প্লাস ভ্যারিয়েন্টে একই ধরনের ডুয়াল নচ ব্যবহার করা হবে। সেই সঙ্গে এ ডিভাইসে ৫০ মেগাপিক্সেলের দুটি ক্যামেরা থাকতে পারে।
প্রকাশিত টিজারে জানানো হয়, অনর ৮০ প্রোর ক্যামেরা ১৬০ মেগাপিক্সেলের বেশি রেজল্যুশনের ছবি ধারণে সক্ষম। তবে এ ডিভাইসে প্রতিষ্ঠানটি কোন ধরনের ক্যামেরা সেটআপ ব্যবহার করছে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। প্রযুক্তিবিদদের ধারণা ১৬০ মেগাপিক্সেলে ছবি তোলার বিষয়টি হয়তো সফটওয়্যারের কারসাজি।
প্লাস মডেলেও একই ধরনের ক্যামেরা সেটআপ থাকতে পারে। অন্যদিকে সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে ডিভাইসগুলোয় ২০০ মেগাপিক্সেলের আইএসওসেল এইচপিওয়ান ক্যামেরা ব্যবহার করা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। অনর ৮০ প্রো ও প্লাস ভ্যারিয়েন্টে কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন ৮ প্লাস জেন ১ প্রসেসর ব্যবহার করা হতে পারে। অন্যদিকে ভ্যানিলা অনর ৮০ ডিভাইসে স্ন্যাপড্রাগন ৭৮২ জি প্রসেসর থাকতে পারে। এ ডিভাইসের মাধ্যমে কোয়ালকমের নতুন চিপটি বাজারে আত্মপ্রকাশ করবে।
৮০ সিরিজের ডিভাইসগুলোয় ম্যাজিক ইউজার ইন্টারফেসের পরিবর্তে নতুন অনর ম্যাজিক অপারেটিং সিস্টেমও চালু করা হতে পারে। প্রযুক্তিবিদদের ধারণা অ্যান্ড্রয়েড ১৩ ভার্সনকে কেন্দ্র করে এটি তৈরি করা হবে। এখন পর্যন্ত সিরিজটির ডিভাইস বৈশ্বিকভাবে বাজারজাতের ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। সংশ্লিষ্টদের আশা চীনের বাজারে উন্মোচনের কয়েক মাস পর ইউরোপে স্মার্টফোনগুলো পাওয়া যাবে।