স্মার্টফোনের বাজার এবছর সরগরম ছিল। এসেছে নতুন ডিজাইন ও ফিচারের স্মার্টফোন। ক্রেতারাও এগুলো লুফে নিয়েছেন। বেশি কিছু দেশে এবছর ৫জি চালু হয়। অনেক দেশ চালুর অপেক্ষায় আছে। ফলে হ্যান্ডসেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ৫জি নেটওয়ার্ক সমর্থিত স্মার্টফোন বাজারে আনে। এছাড়াও ২০২২ সালে ফোল্ডিং ফোনের চাহিদা ছিল তুঙ্গে। এবছরটা না হয় ভালোয় ভালোয় পার হলো, কিন্তু আগামী বছর? আগামী বছরও ফোনের বাজার উঠতিতেই থাকবে? না, আগামী বছর মন্দা যাবে। এমনটাই বলছেন তথ্যপ্রযুক্তি ও বাজার বিশ্লেষকরা।
বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্বব্যাপী মন্দার কারণে স্মার্টফোনের চালান ২০২৩ সালে বাড়বে না, বরং কমবে। নতুন বছরের প্রথমার্ধে ডিভাইসের চাহিদা আরও নিচের দিতে নামতে থাকবে।
তবে আগামী বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিক থেকে ধীরে ধীরে তা বাড়তে শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চ অনুসারে, ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোনের বাজার মাত্র ২ শতাংশ (বার্ষিক ভিত্তিতে) বৃদ্ধি পাবে। ২০২২ সালের পরিপ্রেক্ষিতে স্মার্টফোনের চালান ২০২৩-এর পূর্বাভাসের তুলনায় ১.২৪ বিলিয়ন ইউনিট নেমে এসেছে।
ক্রমাগত মুদ্রাস্ফীতি, ভবিষ্যতে সুদের হার বৃদ্ধির প্রত্যাশা, কর্পোরেট আয়ের ঘাটতি, চীনের স্থবির অর্থনীতি, দীর্ঘস্থায়ী ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, ইউরোপে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনের উপর ব্যাপক নতুন রফতানি নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি ফোনের চাহিদাকে আরও নিম্নমুখী করবে।
কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের ভাইস প্রেসিডেন্ট পিটার রিচার্ডসন, বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোনের বাজারে এই মন্দার বিষয়টি তুলে ধরেছেন।
মনে করা হচ্ছে কম এবং মাঝারি দামের ৫জি ডিভাইসের চাহিদা কিছুটা থাকলেও থাকতে পারে। এর ফলে ২০২৪ সালের শুরুতে বিশ্বব্যাপী বাজারে আবার ৫জি ডিভাইসের চাহিদার কিছুটা হলেও বাড়বে।
রিপোর্ট অনুযায়ী আগামী দিনে প্রিমিয়াম স্মার্টফোনের বাজারে ফোল্ডেবলের মতো নতুন ডিভাইস জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারে। সুতরাং বাজারে ৫জি সাপোর্ট যুক্ত ফোল্ডেবল ফোনের চাহিদা বাড়তে পারে। কিন্তু, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাজারে ফোনের চাহিদা কম এবং সেই অনুসারে চালানও কম থাকতে পারে।