মার্কিন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞায় অন্যান্য কোম্পানির চিপ সংগ্রহের পাশাপাশি নিজস্ব স্মার্টফোন চিপ উৎপাদনেও ভুগছে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস কোম্পানি। এতে সামনের দিনগুলোয় আরো ভুগবে চীনা প্রযুক্তি জায়ান্টটি।
২০২০ সালের শুরুতে বৈশ্বিক স্মার্টফোন বিক্রিতে স্যামসাংকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল শেনঝেনভিত্তিক হুয়াওয়ে। কিন্তু ২০২০ সালের আগস্টে ওয়াশিংটনের কঠোর বাণিজ্য বিধিনিষেধ আরোপের ফলে ধুঁকছে হুয়াওয়েসহ অন্যান্য চীনা প্রযুক্তি কোম্পানি। চীনা প্রযুক্তি খাতের মধ্যে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে সেমিকন্ডাক্টর খাত।
২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে কালো তালিকাভুক্ত হয় হুয়াওয়ে এবং তাদের চিপ ডিজাইন শাখা হাইসিলিকন। নিষেধাজ্ঞার আগে থেকেই চিপ উপকরণের মজুদ বাড়িয়ে সংকট সামাল দেয়ার চেষ্টা করেছিল হুয়াওয়ে। কিন্তু সম্প্রতি উপকরণস্বল্পতায় প্রয়োজনীয় চিপ উৎপাদন করতে পারছে না চীনা প্রযুক্তি জায়ান্টটি। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ফাইভজি সরঞ্জামের অভাবে কেবল ফোরজি স্মার্টফোনই বাজারে আনতে হয়েছে হুয়াওয়ের। এতে উন্নত প্রযুক্তির স্মার্টফোনের দৌড়ে প্রতিদ্বন্দ্বীদের থেকে বেশ পিছিয়ে পড়েছে তারা।
কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়, তৃতীয় প্রান্তিকে বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজারে হাইসিলিকন চিপের হিস্যা শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে, যেখানে দ্বিতীয় প্রান্তিকে এ হিস্যা ছিল শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। ২০২১ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে হাইসিলিকনের হিস্যা ছিল ৩ শতাংশ।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আগে ২০২০ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বৈশ্বিক চিপসেট বাজারের ১৬ শতাংশ হিস্যা ছিল হাইসিলিকনের। বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ ২৫ সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহকারীর তালিকা থেকেও বাদ পড়েছে হুয়াওয়ে মালিকানাধীন কোম্পানিটি।
একসময় চীনের বৃহত্তম স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হলেও স্থানীয় বাজারেও হিস্যা হারিয়েছে হুয়াওয়ে। প্রযুক্তিবাজার বিশ্লেষক সংস্থা ক্যানালিসের উপাত্তে দেখা গিয়েছে, তৃতীয় প্রান্তিকে চীনের বাজারে শীর্ষ স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হচ্ছে ভিভো, অপো, অনর (হুয়াওয়ের বাজেট হ্যান্ডসেট ব্র্যান্ড), অ্যাপল ও শাওমি।