স্মার্টফোনের বৈশ্বিক বাজারে চীনের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান শাওমি বর্তমানে ভালো অবস্থানে রয়েছে। সাশ্রয়ী মূল্যের স্মার্টফোন থেকে শুরু করে ফ্ল্যাগশিপ ক্যাটাগরিতেও প্রতিষ্ঠানটির একাধিক ডিভাইস রয়েছে। শাওমি ১২এস সিরিজ বাজারজাতের সময় প্রতিষ্ঠানটি বড় বিবৃতি দিয়েছিল। ১৩ সিরিজও সে পথেই রয়েছে।
চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে দেয়া এক পোস্টে শাওমির প্রতিষ্ঠাতা লেই জুন জানান, প্রচলিত সব অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের তুলনায় শাওমি ১৩-এর ডিসপ্লে ব্রাইটনেস সবচেয়ে বেশি। তার দাবি, ১৩ সিরিজের ডিভাইসে ব্যবহূত ডিসপ্লে উন্নত মানের এবং ব্যবহারকারীরা কোনো কিছুর অভাব অনুভব করবে না।
প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, শাওমি ১৩ সিরিজের সর্বোচ্চ উজ্জ্বলতা ১ হাজার ৯০০ নিটস পর্যন্ত পৌঁছতে সক্ষম, যেখানে বৈশ্বিকভাবে উজ্জ্বলতার হার ১ হাজার ২০০ নিটস এবং ডিসপ্লেতে শক্তির ব্যবহার ২২ শতাংশ কম। এ স্মার্টফোনে স্যামসাংয়ের হালনাগাদ ই৬ স্ক্রিন উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে। এটি মূলত স্যামসাংয়ের বাজারজাতকৃত ষষ্ঠ প্রজন্মের স্ক্রিন সাবস্ট্রেট।
শাওমির ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইসে স্যামসাংয়ের যে ই৬ সাবস্ট্রেট স্ক্রিন ব্যবহার করা হয়েছে তার সর্বোচ্চ উজ্জ্বলতা ৯০০ নিটস, যা ই৫ সাবস্ট্রেটের তুলনায় বেশি এবং ই৪-এর তুলনায় ১ হাজার ১০০ নিটস বেশি। ডিভাইসটির স্ক্রিন টু বডি রেশিও ৯৩ দশমিক ৩ শতাংশ।
ব্যাটারি লাইফের দিক থেকেও শাওমি ১৩-তে যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। ডিভাইসটিতে ৪ হাজার ৫০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার আওয়ারের ব্যাটারি দেয়া হয়েছে। অফিশিয়াল পরীক্ষার তথ্যানুযায়ী, শাওমি ১৩-এর ব্যাটারি ব্যাকআপ প্রায় দেড় দিনের কাছাকাছি, যা আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্সের চেয়েও বেশি।