জাতীয় নিরাপত্তার ঝুঁকিতে চীনসহ বিভিন্ন দেশের টেলিযোগাযোগ কোম্পানির উপকরণ ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে হুয়াওয়েও রয়েছে। ১২ জুন চীনের গণমাধ্যমগুলোয় গুঞ্জন ওঠে, যুক্তরাষ্ট্র হয়তো হুয়াওয়ের কাছে ফাইভজি চিপসেট বিক্রির জন্য কোয়ালকমকে অনুমতি দেবে। তবে হুয়াওয়ে এ গুঞ্জন নাকচ করে দিয়েছে। খবর গিজচায়না।
চিপ ও প্রযুক্তি খাতসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্র কিছু ক্ষেত্রে চিপ রফতানি নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এ দাবি কোম্পানি ও চীনের জন্য সুফল বয়ে আনবে। এর মাধ্যমে হুয়াওয়ে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় যুক্ত হতে পারবে ও ফাইভজি স্মার্টফোন বাজারজাত করতে পারবে। তবে চলতি সপ্তাহে হুয়াওয়ের কনজিউমার বিজনেস গ্রুপের প্রধান এ প্রতিবেদন তথা গুঞ্জনের বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছেন।
হুয়াওয়ের কর্মকর্তার তথ্যানুযায়ী, কোম্পানিটি কোয়ালকমের কাছ থেকে ফাইভজি চিপসেট পাবে না। সে হিসেবে চীনের সামাজিক মাধ্যমে যে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল তা মিথ্যা প্রমাণিত হলো। তবে হুয়াওয়ে নিকটতম সময়ে কোয়ালকমের ফাইভজি চিপসেট না পেলেও কোম্পানির জন্য সুখবর রয়েছে। দেশটির স্মার্টফোন খাতসংশ্লিষ্টরা জানায়, চীনের অন্যতম এ প্রযুক্তি কোম্পানি চলতি বছর স্মার্টফোন জাহাজীকরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। বর্তমানে এর পরিমাণ চার কোটি ইউনিট। বছরের শুরুতে যার পরিমাণ ছিল তিন কোটি ইউনিট।
হুয়াওয়ে মেট এক্স৩ ও পি৬০ সিরিজের জনপ্রিয়তার কারণে জাহাজীকরণে প্রবৃদ্ধির এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা গেছে। পাশাপাশি সরবরাহ চেইনেও ইতিবাচক অবস্থা দেখা গেছে। ফলে এটি কোম্পানির সার্বিক বাজার ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও সংশ্লিষ্টরা। তাদের ধারণা হুয়াওয়ে শিগগিরই নতুন ডিভাইস বাজারজাত করবে।