মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ। কিন্তু যদি আপনাকে এমন কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয় যার প্রাণ আছে, কিন্তু ইন্দ্রিয় নেই। তখন কী হবে? যেমন ধরুন গাছ। বুঝব কী করে? কী সে চায়? পানি না আলো? সে কি কথা বলতে পারে? করতে পারে ইশারা? নিশ্চয় ভাবছেন মজা করছি।
শুনতে মজার লাগলেও, ঘটনা কিন্তু ষথেষ্ট জটিল। এই জটিল বিষয়কে বাস্তবে রূপ দিয়েছে ‘গুগল’।
গাছের প্রাণ আবিষ্কার করেছিলেন জগদীশ চন্দ্র বসু। তিনি প্রমাণ করেন জীব দেহের মতো উদ্ভিদেরও প্রাণ আছে এবং রয়েছে অসীম প্রাণ শক্তি। তার এই আবিষ্কার সারা পৃথিবীতে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল। কিন্তু গাছের সঙ্গে যোগাযোগ? তা ছিল অধরাই। গুগল সেটাই করল।
সম্প্রতি তারা একটা ‘আপ্লিকেশন সফটওয়্যার’ বানিয়েছে। এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে এক বিশেষ ধরণের ফুল গাছ ‘টিউলিপ’র সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করা যাবে।
ইউরোপ ও আমেরিকা সহ পশ্চিমপাড়ের অনেক দেশেই এই ফুলের চাষ রমরমা। আর সেই কারণেই গাছেদের ভাষা নির্ধারণ করতে এই গাছকেই বেছে নিয়েছেন গুগলের বিজ্ঞানীরা। জানা গেছে, ফুলের জগতে একে অপরের সঙ্গে কথা বলে গাছেরা। নেদারল্যান্ডে ওয়াগেনিং ইউনিভার্সিটি প্রায় দু’বছর ধরে এই বিষয়ে গবেষণা করছে।
তারা দেখেছে, গাছের শিকড়ের মাধ্যমে একটি বিশেষ তরঙ্গ ছেড়ে একে অপরকে নাকি মনের কথা জানায় টিউলিপ গাছ। সেই তরঙ্গকেই পড়ার চেষ্টা করে সফল হয়েছেন একদল বিজ্ঞানী। গাছ নাকি বলছে, পানি দিতে, আলো-বাতাস দিতে।
যদিও কেউ কেউ বলছেন, এটা গুগলের ধোঁকাবাজি। যদি তা হয়ও, আসল সত্যিটা তো মানা যায় না। গাছের প্রাণ আছে। তার মানে বেদনা, আনন্দ সবই আছে। আর সেই ভাষাকে পড়া মানুষের পক্ষে কোনোদিন সম্ভব হবে না, এমন তো নয়।