ফোনের কার্যকারিতা নির্ভর করে হার্ডওয়্যার এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর। তাই ফাইভজি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে চাইলে এখন থেকে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখুন-ফাইভজি স্মার্টফোন থাকলেই কি নতুন প্রজন্মের ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়া যাবে? ফাইভজি-র বিবিধ ফিচার রয়েছে।
হতে পারে আপনার ফোন ফাইভজি সাপোর্ট করল না। আসলে ফোনের কার্যকারিতা নির্ভর করে হার্ডওয়্যার এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর। তাই ফাইভজি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে চাইলে এখন থেকে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখুন-
১। ফাইভজি সাপোর্টিং চিপসেট- দামি ফোনের ক্ষেত্রে এটা কোনো সমস্যা নয়। তবে আপনার বাজেট যদি ২৫ হাজার টাকার কম হয়, তাহলে ফোনের চিপসেট ফাইভজি মডেম সাপোর্ট করে কিনা তা আপনাকে দেখতে হবে। Snapdragon 680, Snapdragon 732G, Snapdragon 860, MediaTek Helio G96 ইত্যাদি চিপসেটের ফোন নেবেন না। iPhone 11, iPhone SE সেকেন্ড জেনারেশন এবং iPhone 11 Pro-সহ পুরানো মডেলের অ্যাপেল ফোন কিনবেন না। আপনার ফোন ফাইভজি সাপোর্ট করে কিনা তা কোম্পানির ওয়েবসাইটের দেখে নিন।
২। ফাইভজি ব্যান্ড সাপোর্ট- ফাইভজি চিপ থাকাই যথেষ্ট নয়। আপনার ফোনে সর্বোচ্চ ফাইভজি ব্যান্ড থাকা উচিত। এতে নেটওয়ার্কের কর্মক্ষমতা ঠিকঠাক থাকে।
৩। শক্তিশালী ব্যাটারি-ফাইভজি-র হাই ইন্টারনেট গতি সাপোর্টের জন্য শক্তিশালী ব্যাটারির দরকার। ফোনে ঠিকঠাক ব্যাটারি থাকা আবশ্যক। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে অন্তত ৫০০০mAh ব্যাটারি থাকা দরকার। এছাড়াও 4G LTE-তে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সুইচ করার মতো ফিচারগুলিও দেখে নিন। iPhone 12, iPhone 13, iPhone 13 Pro এবং iPhone 13 Pro Max-র মতো অ্যাপল ফোন ব্যবহার করুন। তুলনামূলক কম ছোট ব্যাটারির iPhone SE 3rd Gen, iPhone 13 Mini এবং iPhone 12 Mini-এর ফোন কিনবেন না।
৪। পুরনো ফাইভজি ফোন আপডেট করুন- ফাইভজি স্মার্টফোন থাকলে আপডেটগুলিতে নজর রাখুন৷ এগুলি পারফরম্যান্স বাড়ানো, ব্যাটারি লাইফ অপ্টিমাইজ করতে সাহায্য করে।
৫। দামি ফাইভজি মডেল কিনুন-ফাইভজি-র ঠিকঠাক গতি চাইলে দামি ফোন কিনুন। বাজেট ফাইভজি ফোনগুলি সাধারণত দুর্বল মডেম ব্যবহার করে। প্রিমিয়াম ফোনগুলি শক্তিশালী ফাইভজি মডেম ব্যবহার করে। ফলে ৫জি পরিষেবা উপভোগ করতে পারবেন।