এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ আন্দোলন চলছে। এ অসহযোগ আন্দোলনে রাজধানীর শাহবাগসহ কয়েক জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও মুন্সিগঞ্জে সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছেন। এ অবস্থায় মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মোবাইল ইন্টারনেটে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
একটি মোবাইল ফোন অপারেটরের শীর্ষ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ফোরজি সেবা বন্ধের নির্দেশনা তাদের কাছে এসেছে।
এর আগে, মোবাইল নেটওয়ার্কে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। একইসঙ্গে মোবাইল নেটওয়ার্কে কাজ করছিল না রাশিয়াভিত্তিক মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামও।
গত শুক্রবারও (২ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক মোবাইল নেটওয়ার্কে ব্যবহার করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। একইসঙ্গে মোবাইল নেটওয়ার্কে কাজ করছিল না রাশিয়াভিত্তিক মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামও।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার মধ্যে গত ১৭ জুলাই রাতে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১৮ জুলাই রাতে বন্ধ করা হয় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটও। এরপর থেকেই দেশের সামাজিকমাধ্যম ব্যবহারকারীরা ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার করতে পারছিলেন না।
পাঁচদিন পর ২৩ জুলাই রাতে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কূটনীতিক পাড়া, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ, ফ্রিল্যান্সিং ও প্রযুক্তি এবং রফতানিমুখী খাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই সেবা চালু হয়। পরে বাসাবাড়িতেও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করা হয়।
বন্ধের ১১ দিন পর চালু করা হয় মোবাইল ইন্টারনেটও। তবে সেবা চালু হলেও মিলছে না স্বাভাবিক গতি। জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আজ বিকেলের মধ্যে ফেসবুক, টিকটক, ইউটিউব চালু হবে। ইতিমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিটিআরসি কাজ শুরু করেছে। স্বাভাবিক হবে ইন্টারনেটের গতিও। সর্বোচ্চ গতি নিশ্চিত করার কার্যক্রম চলছে।
গত ২৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ের কিছু ভিডিও কন্টেন্টের ব্যাপারে ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটককে চিঠি দিয়ে তলব করে সরকার। চিঠিতে তাদের কাছে যৌক্তিক ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। একই সঙ্গে ৩১ জুলাই সশরীরে বিটিআরসিতে প্রতিনিধিদের হাজির হতেও বলা হয়। টিকটক চিঠির জবাব দিলেও ফেসবুক জবাব দেয়নি বলে জানা যায়।