সাইবার হামলা থেকে রক্ষা পেতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি ই-মেইল ও কম্পিউটারের জন্য আমরা সবাই একাধিক পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু দুর্বল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করলে সাইবার অপরাধীরা সহজেই অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ব্যক্তিগত বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করতে পারে। এমনকি তথ্য চুরির পর সেগুলো আবার ব্যবহারের সুযোগ দিতে অর্থও দাবি করে তারা। তাই অনলাইনে নিরাপদ থাকতে ই-মেইল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলোতে অবশ্যই শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। কিছু কৌশল অবলম্বন করে সহজেই শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করা যায়।
জটিল ও আকারে বড় পাসওয়ার্ড
সহজ পাসওয়ার্ড খুব সহজেই হ্যাক করতে পারে হ্যাকাররা। তাই আকারে বড় ও জটিল সংখ্যার পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হবে। পাসওয়ার্ডে অবশ্যই বড়–ছোট অক্ষরসহ বিভিন্ন সিম্বল ও সংখ্যা লিখতে হবে। নিরাপত্তা গবেষকদের তথ্যমতে, অন্তত ১৫ অক্ষরের পাসওয়ার্ড তৈরি করা সব থেকে নিরাপদ। অবশ্য ব্যাংকসহ অনেক অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ডে অক্ষরসংখ্যা নির্দিষ্ট করা থাকায় চাইলেও বড় পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা যায় না।
পাসওয়ার্ডে ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার না করা
শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরির জন্য নিজের বা পরিবারের সদস্যদের জন্মতারিখ, সন্তান বা জীবনসঙ্গীর নাম দিয়ে পাসওয়ার্ড তৈরি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এসব পাসওয়ার্ড খুব সহজেই হ্যাক করে ফেলতে পারে হ্যাকাররা। তাই নিজের প্রিয়জন বা পছন্দের জীবজন্তু বা বস্তুর নামের সমন্বয়ে পাসওয়ার্ড দেওয়া উচিত নয়। শুধু তা–ই নয়, নিয়মিত পাসওয়ার্ডও পরিবর্তন করতে হবে।
একই পাসওয়ার্ড সব অ্যাকাউন্টে নয়
অনেকেই সহজে মনে রাখার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি এক বা একাধিক ই-মেইল অ্যাকাউন্টে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন, যা মোটেও ঠিক নয়। কারণ, একটি অ্যাকাউন্ট হ্যাকড হলে অন্য অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তাও ঝুঁকিতে পড়বে।
কোড সংকেত দিয়ে জটিল পাসওয়ার্ড তৈরি
সাধারণ চোখে কোনো অর্থ খুঁজে পাওয়া যাবে না এবং পড়তেও খুবই জটিল হবে, এমন পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হবে। তবে মনে রাখার জন্য কোড সংকেত ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন ‘আমি ভেনিস যেতে চাই’ এই বাক্য দিয়ে!W2g2V3n!32 এভাবে পাসওয়ার্ড তৈরি করা যেতে পারে।