ধর্মীয় অনুভূতি ও মূল্যবোধে আঘাত হানার অভিযোগে বিতর্কিত বক্তা মুফতি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আত-তাহেরীর বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন মামলা খারিজের আদেশ দেন।
রোববার বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনাল আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে এ মামলার আবেদন করেছিলেন আইনজীবী ইব্রাহীম খলিল।
ধর্মীয় অনুভূতি ও মূল্যবোধের ওপর আঘাত সৃষ্টির অভিযোগে এ মামলার আবেদন করা হয়েছিল।
মামলার বাদী খলিলের অভিযোগ, তাহেরীর ‘বসেন বসেন বইসা যান, ঢেলে দেই’ এ সব বাক্য ওয়াজে ব্যবহার করে তিনি ইসলাম ধর্মকে ব্যঙ্গ করেছেন। জিকিরের সময় এ রকম শব্দ উচ্চারণ ইসলামের কোথাও উল্লেখ নেই।
তাহেরীর এ সব কর্মকাণ্ড মুনাফেকির শামিল বলে উল্লেখ করেন তিনি বলেন, তাহেরী কোরআন ও হাদিস অবমাননা করেছেন বলেও দাবি করেন মামলার বাদী ইব্রাহিম।
যে কারণে তাহেরীর মামলা খারিজ
তাহেরীর মামলা খারিজের বিষয়ে বাদী ইব্রাহিম খলিল বলেন, বিচারক বলেছেন, মুফতি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আত-তাহেরীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তাতে ভিন্ন কিছু খুঁজে পাওয়া যায়নি। একেক মানুষের বক্তব্য উপস্থাপনের ধরন একেক রকম। মুফতি তাহেরীর বক্তব্য উপস্থপানের ধরন অন্যদের চেয়ে আলাদা।
মামলা খারিজ বিষয়ে মুফতি তাহেরী যুগান্তরকে বলেন, অনেকেই আমাকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন। ফেসবুকে বাজেভাবে লেখালেখি করেছেন। এতে আমাকে সামাজিকভাবে হয়রানি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ১৭ বছর ধরে ওয়াজ করি। আমি বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শ্রোতা ও বক্তার মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করি। আমি কোরআন ও হাদিসের সাংঘর্ষিক কোনো কিছু বলি না।
প্রসঙ্গত, দাওয়াতে ঈমানী বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুফতি মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন আত-তাহেরী।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে জিকিরের সময় নেচে-গেয়ে ‘বসেন বসেন,বইসা যান’ বলায় সমালোচিত হন তাহেরী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে তৈরি হয় নানা ট্রল ও ভিডিও। এরপর কিছু দিন ওয়াজ বন্ধ রেখেছিলেন তিনি। সম্প্রতি ফের আলোচনায় আসেন এই বক্তা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্ম নেয়া মুফতি মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন আত-তাহেরী সুফিধারার আলেম হিসেবে পরিচিত।