অনলাইনে নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের দুই ছাত্রীর যৌন ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে অনেক মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী। শনিবার রাতে এক কুয়েত প্রবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে দুই ছাত্রী ও তাদের সহযোগী এক বিকাশ এজেন্ট আটক করেছে সিআইডি। জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এছাড়া তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে বিপুল অর্থ লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। পরে অভিযোগকারীর মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন- বেগমগঞ্জের খানপুর গ্রামের মারজাহান আক্তার, সেনবাগের লেদুয়া গ্রামের শাহজাদী মজুমদার, নোয়াখালী পৌরসভার জয়কৃষ্ণপুরের বিকাশ এজেন্ট মোশারফ হোসেন মনু।
অভিযোগকারী কুয়েত প্রবাসী জানান, তাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রূপের জালে ফেলে কয়েক দফায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন এই দুই ছাত্রী। একইভাবে আরো দুই প্রবাসী যুবকের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাদের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হওয়াদের তালিকাটা বেশ বড়।
বাহরাইন প্রবাসী আরেক যুবক বলেন, গরীব ও অসুস্থ মানুষকে সাহায্যের কথা বলে তারা আমার কাছ থেকে আট হাজার টাকা নিয়েছে। সম্প্রতি ইমোতে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অংকের টাকা দাবি করছে চক্রটি।
নোয়াখালী সিআইডি’র এসআই শাহ আলম বলেন, নোয়াখালীতে একাধিক নারী চক্র ফেসবুক, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারে ইউরোপ প্রবাসীর মেয়ে সেজে প্রবাসী যুবকদের বিয়ে করে ইউরোপে নেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলো। এছাড়া বন্ধুত্ব করে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে সেসবের ভিডিও-ছবির মাধ্যমে ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগও রয়েছে এসব চক্রের বিরুদ্ধে।
তিনি আরো বলেন, এসব চক্রের সদস্যরা মানবিক সহায়তার আবেদন, অসুস্থ রোগীর বানোয়াট ছবি দেখিয়ে সাহায্যের নামে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এজন্য তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকগুলো আইডি ব্যবহার করে। টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর আইডিগুলো বন্ধ করে দেয়।