মনের মানুষ খোঁজার আশায় আমরা মাঝেসাঝেই ডেটিং সাইটগুলোতে ঢুঁ মেরে থাকি। কিন্তু কখনো কখনো সেখানে গিয়ে ‘প্রেম’ পাওয়ার বদলে শিকার হতে হয় জালিয়াতির। সম্প্রতি এমনই কয়েকটি ঘটনা সামনে এলো। কিছুদিন আগেই মুম্বাই এর এক ৭৯ বছরের ব্যক্তি ডেটিং সাইটে প্রতারণার শিকার হয়ে ১.৫ কোটি টাকা খুঁয়েছিলেন। তার সাথে ইউরোপের এক মহিলার পরিচয় হয়েছিল। সম্প্রতি ৬৫ বছরের আরেক ব্যক্তি ডেটিং সাইটে নাম এনরোল করার চক্করে ৭৩.৫ লক্ষ হারিয়েছেন বলে জানা গেছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, জালিয়াতরা প্রথমে ওই ব্যক্তিকে লোকান্টো ডেটিং সার্ভিসেস এন্ড স্পিড ডেটিংয়ের সদস্যপদ গ্রহণ করার অনুরোধ জানায়। প্রতারিতকে তারা জানিয়েছিল মুম্বাইয়ের পছন্দের জায়গায় তারা ডেট করার জন্য গার্ল পাঠাবে । এরপর ওই ব্যক্তি আগ্রহপূর্বক রেজিস্ট্রেশন এবং অন্যান্য ফি প্রদান করে। কিন্তু ফি ভরলেও ডেটিংয়ের সুবিধা না পেয়ে সদস্যপদ বাতিল করার দাবি জানান তিনি। তবে প্রতারকরা বেহিসাবি দাম বাড়িয়ে ক্যান্সেলেশন চার্জ চায় । একই সঙ্গে তাকে ডেটিংয়ের জন্য মেয়ে দাবি করায় পুলিশে অভিযোগ করার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও, প্রতরকরা ওই ব্যক্তিকে ভয় দেখাতে এবং অর্থোপার্জনের জন্য আইনী নোটিশও পাঠিয়েছিল।
আইনি ঝামেলা থেকে নিজেকে রক্ষা করার উপায় হিসাবে প্রতারকরা ওই ব্যক্তির কাছে অর্থ দাবি করেছিল। সামাজিক মর্যাদা হারানোর ভয়ে ব্যক্তি ৭৩.৫ লক্ষ টাকা বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেয়। তবে পরে তিনি পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে এই মামলায় এফআইআর করেন । এরপরেই কলকাতার একটি ভুয়া কল সেন্টার ধরা পড়ে।
ডেটিং সাইট এবং অ্যাপগুলোকে জালিয়াততা টার্গেট করছে। তাই আপনাকে এরা ঠকানোর জন্য বিভিন্ন উপায় বার করবে। আপনি যদি কোনো ডেটিং সাইটে যুক্ত থাকেন এবং যদি কেউ আপনাকে ব্যয়বহুল উপহার পাঠাতে চায় এবং জানায় কোনো একটি সমস্যায় কারণে সেটি পাঠাতে পারছেনা, তবে সাবধান হন, কারণ এটি প্রতারণার একটি উপায়। জালিয়াতিরা ডেটিং সাইট এবং অ্যাপগুলোতে আকর্ষণীয় ছবি সহ প্রোফাইল তৈরি করে এবং মানুষকে বোকা বানায়।