রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বন্ধ করবে না বলে জানিয়েছে ফেসবুক। সাম্প্রতিক সময়ে এ বিষয়টি সমালোচনার মধ্যেই রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সংস্থাটি।
ফেসবুকের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য কিছু সুবিধা দিচ্ছে তারা। ব্যবহারকারীরা ফেসবুকে কী ধরনের বিজ্ঞাপন দেখতে চান, তা ঠিক করে নেওয়ার সুযোগ থাকবে তাদের। এছাড়া রাজনীতিবিদরা ফেসবুকে অর্থ খরচ করে নিজেদের ইচ্ছামত প্রচারণা চালাতে পারবেন বলেও জানানো হয়েছে।
ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জুকারবার্গ বলেছেন, রাজনৈতিক বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ। ফেসবুক এ বিষয়ে হস্তান্তর করতে চায় না। সমালোচকরা বলছেন, এর ফলে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মিথ্যা তথ্য প্রচারের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বিডেনের প্রচারণা মুখপাত্র বিল রুসো বলেছেন, এর ফলে অর্থ খরচ করে ভুল তথ্য প্রকাশের পথ আরও প্রসারিত হলো।
২০১৬ সালে ফেসবুকে ভুল তথ্য প্রচারণার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা শুরু হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুক, টুইটার এবং গুগল একটি ভিডিও মুছে দেওয়ার বিষয়ে অস্বীকৃতি জানায়। জো বিডেনকে লক্ষ্য করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একটি প্রচারণার বিজ্ঞাপনচিত্র ছিল এটি।
নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড্যানিয়েল ক্রিস বলেন, ফেসবুক এবং টুইটারের নিজেদের মধ্যে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়। তবে অনেকেই বলছেন, কোনটা সত্য বা মিথ্যা সেটা বিচার করার দায়িত্ব ফেসবুকের না।