নভেল করোনাভাইরাস বাস্তবতায় প্রযুক্তি শিল্প ও অন্যান্য শিল্প বেশ সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সংক্রমণ এড়াতে ঘরে থাকার নির্দেশনা থাকায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠান। হিসেবটি উল্টে গেছে নেটফ্লিক্সের বেলায়।
সম্প্রতি ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকের হিসেব জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। লকডাউনের মধ্যে বেড়েছে নেটফ্লিক্সের গ্রাহক সংখ্যা। এ সময়ের মধ্যে নতুন এক কোটি ৬০ লাখ গ্রাহক পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। স্ট্রিমিং সাইটটিতে মানুষের সময় কাটানোর হারও বেড়েছে।
এতো গ্রাহক বেড়ে যাওয়ার ফলে লাভের পাশাপাশি নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে। নেটফ্লিক্স অনুমান করেছে, পুরো বছরজুড়ে গ্রাহক সংখ্যা যেভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার কথা, সে হিসেবে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে লকডাউন উঠে যাওয়ার পর।
এর আগে প্রথম প্রান্তিকে ৭০ লাখ নতুন গ্রাহক পেতে পারে বলে জানিয়েছিল নেটফ্লিক্স। সে তুলনায় গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। আগামীতে নেটফ্লিক্সের গত কয়েক সপ্তাহে আসা কোন কনটেন্ট কতো ভিউ পেতে পারে, সেটিও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
নেটফ্লিক্সের দেওয়া হিসেবে, ‘টাইগার কিং: মার্ডার’ এবং ‘মেহ্যাম অ্যান্ড ম্যাডনেস’ প্রথম চার সপ্তাহে ছয় কোটি ৪০ লাখ ভিউ, ওজার্ক সিজন ৩ –এ আসতে পারে দুই কোটি ৯০ লাখ ভিউ, মানি হেইস্টে ছয় কোটি ৫০ লাখ এবং স্পেনসার কনফেডেনশিয়ালে আসতে পারে আট কোট ৫০ লাখ ভিউ।
স্ট্রিমিং বাড়ার পর নেটওয়ার্কের ট্রাফিকের উপর চাপ কমাতে নেটফ্লিক্সের ‘ওপেন কানেক্ট ক্যাশিং’ সহযোগিতা করেছে বলে জানিয়েছে এনগ্যাজেট। এদিকে, অবস্থা ভালো হওয়ার পর সীমাবদ্ধতা তুলে নেওয়ার লক্ষ্যে নেটওয়ার্কের সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে বলেই জানিয়েছে নেটফ্লিক্স।
বর্তমানে বাসা-থেকে-কাজ সেটআপে নিজেদের গ্রাহক ব্যবস্থাপনা সামাল দিচ্ছে নেটফ্লিক্স। দূর থেকে কাজ করবেন এরকম নতুন দুই হাজার প্রতিনিধিও নিয়োগ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।