ছোট্ট আণুবীক্ষণিক জীব নোভেল করোনা ভাইরাসকে বশে আনতে বানরের ওপর গবেষণার পর দুটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন মার্কিন গবেষকরা। তাতে দেখা যাচ্ছে, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠলে যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয় তাতে করে পুনরায় আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ নেই। গবেষকরা বলছেন, প্রথমবারের মতো এ নিয়ে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাওয়া গেল।
গবেষকরা আরও বলছেন, কোভিড-১৯ প্রতিরোধে যে ভ্যাকসিনগুলো তৈরি হচ্ছে এটা হবে তার জন্য একটা ইতিবাচক দিক। এছাড়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের প্রতিরোধে শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে তাও বেশ সুরক্ষিত। আর এই ধারণার পক্ষেও তাদের কাছে বৈজ্ঞানিক প্রমাণের ভিত্তি রয়েছে।
উল্লিখিত ওই দুই গবেষণার মধ্যে একটিতে দেখা যাচ্ছে, গবেষকরা ৯টা বানরকে করোনা সংক্রমিত করেছিল। সুস্থ হয়ে ওঠার পর আবারও তাদের দেহে করোনা সংক্রমিত করা হয়। এতে দেখা যায়, বানরগুলো পুনরায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হলেও তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে; ফলে অসুস্থ হয়নি।
জার্নাল সায়েন্সে প্রকাশিত নিবন্ধটির লেখক এবং যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে অবস্থিত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ভাইরোলোজি অ্যান্ড ভ্যাকিস রিসার্সের গবেষক ডা. ড্যান বারোচ বলেন, ‘প্রাপ্ত গবেষণা লব্ধ তথ্যে দেখা যাচ্ছে, পুনরায় আক্রান্ত হওয়া ঠেকাতে প্রাকৃতিকভাবেই তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে।’
তিনি এটাকে একটা সুসংবাদ হিসেবে অভিহিত করেছেন। শুধু এটা নয় আরও অনেক গবেষণা; যেগুলোর অনেকগুলো অবশ্য অন্য বিজ্ঞানীদের দ্বারা এখনো পুনঃপরীক্ষিত হয়নি, তাতে বলা হচ্ছে, প্রাণীর বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন কার্যকর হয়েছেন।
এছাড়া উপরে যে দুটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে এর মধ্যে দ্বিতীয়টিতে ডা. ব্যারোচ ও গবেষণার সঙ্গে যুক্ত তার সহকর্মী গবেষকরা আরও ২৫টি বানরের মাধ্যমে ছয়টি ‘প্রোটোটাইপ’ ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালিয়ে দেখার চেষ্টা করেছিল যে, এর ফলে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় তা সুরক্ষিত কিনা।
ব্যারোচ বলেন, ‘আমরা বানরগুলোর নাকে এবং ফুসফুসে ব্যাপক মাত্রায় কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ দেখতে পাই। কিন্তু সেগুলোর মধ্যে যাদের দেহে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছিল তাদের এর শরীরে উচ্চমাত্রায় সুরক্ষিত থাকার প্রমাণ পেয়েছি। ভ্যাকসিন দেওয়া ৮টি প্রাণী ছিল সম্পূর্ণ সুরক্ষিত।