ফেসবুক ব্যবহারকারীরা মার্কিন নির্বাচন ২০২০-এর কোনো বিজ্ঞাপন না দেখতে চাইলে তা ‘বন্ধ করে রাখতে’ পারবেন। সম্প্রতি এ বিষয়ে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ।
মার্কিন দৈনিক ইউএসএ টুডে’র জন্য এক লেখায় জাকারবার্গ আশা প্রকাশ করেছেন, ৪০ লাখ আমেরিকানকে নতুন ভোটার হিসেবে নিবন্ধন করাতে সহায়তা করতে পারবেন তিনি।
ভুয়া তথ্য ছড়ানো রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্মে ঠাঁই দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে সমালোচকদের তোপের মুখে পড়েছিল ফেসবুক। কিন্তু চাইলে যে বিজ্ঞাপন বন্ধ রাখা যাবে, সে ব্যাপারে তখনও কিছু বলেননি ফেইসবুক প্রধান।
এখন জাকারবার্গ বলছেন, “আপনারা যারা এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন এবং শুধু নির্বাচন শেষ হয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন, আমরা তাদের পাশে আছি।– রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বন্ধ করা যাবে এমন সক্ষমতা নিয়ে আসছি আমরা”।
গত অক্টোবরেই নিজ প্ল্যাটফর্মে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের প্রচার নিষিদ্ধ করেছে সংবাদ বিষয়ে ফেইসবুকের সামাজিক প্ল্যাটফর্ম প্রতিদ্বন্দ্বী টুইটার।
ফেসবুক এবং ফেসবুক মালিকানাধীন ইনস্টাগ্রাম নিজ ব্যবহারকারীদের রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বন্ধের সুযোগ দিচ্ছে। সেটিংস ফিচার ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন ব্লক করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।
রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন ব্লক করার পরও দেখা গেলে অভিযোগ করা যাবে। বুধবার থেকেই ফিচারটি ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছে যাবে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সব ব্যবহারকারীর জন্য এবং এই শরত নাগাদ অন্যান্য দেশের ব্যবহারকারীদের জন্যও ফিচারটি আনার পরিকল্পনা করেছে ফেসবুক।
নভেম্বরের মার্কিন নির্বাচনের জন্য ভোটার হিসেবে যারা এখনও নিবন্ধন করেননি, তাদের নিবন্ধন করার ব্যাপারেও উৎসাহ দিয়েছেন জাকারবার্গ।
জাকারবার্গ বলেছেন, “ভোটিং হচ্ছে আওয়াজ। এটি গণতন্ত্রের সবচেয়ে শক্তিশালী অভিব্যক্তি, আমাদের নেতৃস্থানীয়দের জবাবদিহিতা এবং আমরা কীভাবে আমাদের দেশের নানা সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছি তা নিশ্চিত করার সবচেয়ে ভালো উপায়”।
“আমি বিশ্বাস করি, ভোটার দমনের বিরুদ্ধে কাজ করা ফেসবুকের দায়িত্ব – যা সামঞ্জস্যহীনভাবে নানা বর্ণের মানুষকে লক্ষ্য করে হয়ে থাকে — তবে সুনির্দিষ্টভাবে ভোটারদের নিযুক্তকরণ, নিবন্ধকরণ এবং ভোটদানকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করার জন্য”। – বলেছেন জাকারবার্গ।