ওয়েবসাইটে নোটিশের মাধ্যমে হং কংয়ে সেবা বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে ক্ষুদ্র-ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক।
টিকটকের এমন পদক্ষেপের বিষয়ে অবশ্য ইঙ্গিত এসেছিল চলতি সপ্তাহের শুরুতেই। হং কংয়ের ওপর চীনের নতুন নিরাপত্তা আইন প্রয়োগের পরই ওই ইঙ্গিত দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি — খবর বিবিসি’র।
চীনের নতুন আইনের কারণে বিশেষ সায়ত্বশাসিত হং কংয়ের স্বাধীনতা সীমিত হয়েছে। উদ্বেগ তৈরি হয়েছে সামাজিক মাধ্যমগুলোর ওপর কর্তৃপক্ষের নজরদারী বাড়ানো নিয়েও।
হং কংয়ের পরিস্থিতি নতুনভাবে পর্যালোচনা করছে ফেইসবুক এবং টুইটারের মতো সামাজিক মাধ্যমগুলোও।
টিকটক চীনা কর্তৃপক্ষের কাছে গ্রাহকের ডেটা শেয়ার করতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অনেক দেশ। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের সমালোচনার মুখেও পড়েছে অ্যাপটি।
চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরের দেশগুলোর জন্য টিকটক অ্যাপটি চালু করেছে মালিক প্রতিষ্ঠান বেইজিংভিত্তিক বাইটড্যান্স। তবে, চীনে টিকটক ব্যবহার করা যায় না এবং চীনের ব্যবহারকারীদের জন্য টিকটকের ভিন্ন একটি সংস্করণ রয়েছে।
শুক্রবার অ্যাপটির এক মুখপাত্র বলেন, নতুন ব্যবসায়িক কাঠামোর আওতায় আসতে পারে টিকটক।
ইমেইল বিবৃতিতে ওই মুখপাত্র বলেন, “যেহেতু আমরা সামনে এগোতে সবচেয়ে ভালো পথটি বেছে নিতে চাচ্ছি, তাই টিকটক ব্যবসার বাণিজ্যিক কাঠামোয় পরিবর্তন আনার বিষয়টি বিবেচনা করছে বাইটড্যান্স।”
চীনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে টিকটক গ্রাহকের ডেটা শেয়ার করবে না বাইটড্যান্স, এর আগে এমন অঙ্গীকার করেছে প্রতিষ্ঠানটি। পুনরায় একই অঙ্গীকারের কথা বলেছেন ওই মুখপাত্র।
“চীনা সরকারকে আমরা কখনোই ডেটা দেইনি, অনুরোধ করলেও এমনটা করবো না,”– বলেন টিকটক মুখপাত্র।
বিশ্বজুড়ে লকডাউন চলাকালীন জনপ্রিয়তা অনেক বেড়েছে টিকটকের। সেন্সর টাওয়ারের তথ্যমতে, এ বছরের প্রথম তিন মাসে অ্যাপটি ডাউনলোড করেছেন প্রায় সাড়ে ৩১ কোটি গ্রাহক।