বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট ফেসবুক। অনেকে ব্যক্তিগত কিংবা দাফতরিক বিষয় ফেসবুকে আদান প্রদান করে। আর এসবই হ্যাকারদের নজর পড়ে। তবে হ্যাকারদের কুনজর থেকে ফেসবুক নিরাপদ রাখতে নিরাপত্তা সিস্টেমে নতুন ফিচার যুক্ত করছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
এ পরিস্থিতিতে ফেসবুকের কিছু বৈশিষ্ট্য অপছন্দ করছেন ব্যবহারকারীরা। এসব অপছন্দ ও হ্যাকারদের নজর এড়িয়ে নিরাপদে ফেসবুক চালানো সম্ভব বলে জানায় ফেসবুক টিম।
স্মার্টফোনে বাড়তি অ্যাপের চাপ না ফেলে সহজেই যেকোনো ব্রাউজারে ফেসবুক চালালে প্রায় সব মূল ফিচার ব্যবহার করা সম্ভব। ব্রাউজারে ফেসবুক ব্যবহারের দুটি সাইট রয়েছে। যেমন https://m.facebook.com এবং https://mbasic.facebook.com।
এতদিন বিনামূল্যে ফেসবুক চালানোর জন্য https://0.facebook.com ব্যবহার হয়েছিল। ছবি ও ভিডিও দেখা ছাড়া ফেসবুক চালানো সম্ভব ছিল। তবে সম্প্রতি বিটিআরসির সিদ্ধান্তে এ সেবা বন্ধ করেছে সিম কোম্পানিগুলো।
তবে ফেসবুক অ্যাপের মতো ইন্টারফেস, উচ্চমানের ছবি ও ভিডিও ব্যবহারের জন্য m.facebook.com আদর্শ। কিন্তু অল্প ডাটা ও র্যাম ব্যবহারের জন্য mbasic.facebook.com-এর তুলনা নেই।
ফেসবুক লাইট: ফোনের ওপর চাপ কমাতে ফেসবুক লাইট ব্যবহার করা যেতে পারে। লাইট অ্যাপের ইন্টারফেস ও ফিচার অনেকটা mbasic সাইটের মতো, লাইভ করা বা লোকেশন ব্যবহারের সুবিধা এটিতেও নেই। ছোট ছোট লেখার ওপর টাচ করে কাজ করতে হয়। ছবি ও ভিডিওর মান কম। পুরনো মডেলের বা কম শক্তির ফোনগুলোতে চাপ কমাতে ফেসবুক লাইট ব্যবহার করা নিরাপদ।
ফাস্টার ফর ফেসবুক লাইট: মেসেঞ্জার ও ফেসবুকের কাজ একাই করতে সক্ষম এ অ্যাপ। এতে ডার্কমোড, আছে মেসেঞ্জারের চ্যাটহেড দেয়া হয়েছে। এ অ্যাপ ডাটাও খুব কম ব্যবহার করে।
ফ্রেন্ডলি ফর ফেসবুক: অনেকেই তার ফেসবুক অ্যাপ কাস্টমাইজ করতে চান। বিভিন্ন থিম, বাটন ও ইন্টারফেসে নতুনত্ব, ফন্ট বদলে ফেলা থেকে নানা রকম পরিবর্তন আগ্রহীরা ‘ফ্রেন্ডলি ফর ফেসবুক’ অ্যাপ ব্যবহার করে। এতে ফেসবুক অ্যাপ ও মেসেঞ্জার দুটির ফিচারই থাকবে।
সুইফট ফর ফেসবুক লাইট: এ অ্যাপে রয়েছে মূল ফেসবুক লাইট অ্যাপের সব ফিচার। এর সঙ্গে বাড়তি হচ্ছে মেসেঞ্জার ফিচার। একদম যেন ‘অ্যানড্রয়েড গো’ ডিভাইসের কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে এটি। এ অ্যাপ ফোনের জায়গা আর র্যাম দুটিই বাঁচাতে আদর্শ।