মেজর সিনহা হত্যা মামলার অন্যতম আসামি কক্সবাজার থানার বহিস্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে বেশ কয়টি হত্যার অভিযোগ এনে এজাহার দায়ের করা হয়েছে। ওসি প্রদীপ থেকে বেঁচে ফেরা সাজিদ আব্দুল্লাহ সাঈফ নিয়ে একটি ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হয়েছে ।
তার ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হল-
‘ওসি প্রদীপের সাথে আমার ভাইরাল ছবিটা নিয়ে অনেকের অনুরোধে কিছু স্মৃতি তুলে ধরলাম…
আপনারা হয়তো ওসি প্রদীপকে আজকের দিনে চিনতেছেন একজন মেজর হত্যার কারণে,
আমার মতো অনেকেই রাজনৈতিক কারণে বা অন্য কোন কারণে ওসি প্রদীপকে অনেক আগে থেকেই জানে..
রাজনৈতিক কারণে কাউকে ক্রসফায়ারে মেরে ফেলা,এভাবে নির্যাতনের জন্যই কি দেশটা স্বাধীন হয়েছিল???
বেশি বড় করতে চাই না,সংক্ষেপে বলি..
সেদিন ২০১৩ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারী মসজিদ হতে ধরে নিয়ে অনেককেই গুলি করে।
আমাকে তো গুলি করেছিল বাসা হতে ধরে নিয়ে ছাদে এনে পরপর তার পিস্তলের ৬ রাউন্ড।
নিজ হাতে গুলি করার পর সে ৬ তলা ভবনের ছাঁদ হতে ফেলে দিতে যায়। ভাগ্য সহায়ক, মিডিয়া এসে যাওয়ার কারণে(চ্যানেল ২৪,দিগন্ত টিভি ও আমার দেশ) যার মধ্যে লাইভ কাস্টে ছিল চ্যানেল ২৪।
আশপাশের পুলিশ সদস্যরা বলে স্যার মিডিয়া আসছে, আপনি ছেড়ে দেন।আমরা তাকে নিয়ে যাচ্ছি,
এটা বলার সাথে সাথে পিছন হতে রাইফেল বাট দিয়ে মাথায় আঘাত করে এক চাকমা ডিবি সদস্য।
মাথায় অঝোরে রক্ত ঝরছিল, যার দরুন পড়ে যায় সিঁড়িতেই।
সেই ছয় তলা ভবনের সিঁড়ি হতে লাথি-উষ্টার মাধ্যমে গড়িয়ে গড়িয়ে নিছে নিয়ে আসে।
তারপর ধরে নিয়ে আসে থানায়।
আনার পথে মারা হয়েছে লাঠি দিয়ে প্রচুর।
আপনারা হয়তো জানেন সেদিন জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার রায় ছিল,এবং হরতাল চলছিল।
পরে সে থানায় নিয়ে এসে,অনেককে গুলিবিদ্ধ পড়ে থাকতে দেখি।আমাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তার(ওসি প্রদীপের) রুমে।
যেখানে রেখেছিল, টাইলস রক্তের ছোপ ছোপ দাগ পড়ে যায়। সেখানে আমাকে নিজের রক্তে পিচ্ছিল টাইলসের উপরে দীর্ঘ ত্রিশ মিনিট পা দিয়ে মাড়ায় ওসি প্রদীপ ও তার পোষা কুকুর গুলো।গলার উপর বুট দিয়ে চেপে ধরে,যেন নিঃশ্বাস বন্ধ হবার উপক্রম।
এভাবে অসংখ্য ভাইকে রিমান্ডে মরিচ গুড়া,বাহুতে বাঁশডলা দেওয়া, কারেন্ট শক দেওয়া ছিল তার নিত্য নৈমিত্তিক কাজ।
তার পাপ লিখতে গেলে কাগজ শেষ হবে,কিন্তু তার পাপের মাত্রা শেষ হবেনা!’