জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ ভাইবার ‘ব্যাক টু স্কুল’ বিষয়ক তাদের বৈশ্বিক জরিপের ফল প্রকাশ করেছে। এ জরিপে প্রায় ১ লাখ ৮৫ হাজার মানুষ অংশ নেন। বিশ্বের ২৪টি দেশে পরিচালিত এ জরিপে অংশগ্রহণকারীরা জানিয়েছেন, যোগাযোগের সুবিধার্থে তারা গুরুত্বপূর্ণ ই-লার্নিং পণ্যগুলোর পাশাপাশি ভাইবার ব্যবহার করেছেন।
কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারির কয়েক মাস পেরিয়ে গেছে এবং এখনো বিশ্বব্যাপী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষাবর্ষের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ভেবে দেখছে। বিশ্বের অনেক দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা সরাসরি স্কুলে উপস্থিত হবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে। অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একটি হাইব্রিড মডেল অনুসরণ করা হবে কিংবা সাম্প্রতিক সময়ে জনপ্রিয়তা পাওয়া ই-লার্নিং পদ্ধতি ব্যবহার করে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করবে।
ভাইবারের জরিপ অনুযায়ী, বৈশ্বিক উত্তরদাতাদের মধ্যে ৭৫ শতাংশ মনে করেন, নতুন শিক্ষাবছরে শিক্ষা কার্যক্রম দূরবর্তী পদ্ধতিতে অর্থাৎ অনলাইনে পরিচালিত হওয়া উচিত। অন্যদিকে, বাংলাদেশের ৬৫ শতাংশ ব্যবহারকারী অনলাইন ও সরাসরি শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি- এ দু’য়ের সমন্বয়ে একটি হাইব্রিড মডেল চায়।
জরিপে অংশ নেয়া বাংলাদেশি উত্তরদাতাদের মধ্যে গড়ে ৬৯ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা শিক্ষামূলক কার্যক্রমের উদ্দেশ্যে প্রধান টুল হিসেবে মোবাইল/ট্যাবলেটে ভাইবার ব্যবহার করেন। অন্যদিকে ফিলিপাইন, মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কায় এ হার কিছুটা কম; যথাক্রমে: প্রায় ৩৬ শতাংশ, ২৯ শতাংশ এবং ৪৯ শতাংশ।
এ নিয়ে ভাইবারের প্রধান নির্বাহী জামেল আগাওয়া বলেন, ‘বছর খানেক আগে মনে করা হতো ভবিষ্যতের শিক্ষা কার্যক্রম আগামী দশ বছর কিংবা তারও অধিক সময়ের মধ্যে শতভাগ দূরবর্তী স্থান থেকে পরিচালিত হবে। কিন্তু, বৈশ্বিক মহামারির প্রকোপে রাতারাতিই শিক্ষার্থীরা দূরবর্তী স্থান থেকে শিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে আমরা দেখেছি, অনেক অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা অনলাইন কিংবা সরাসরি শিক্ষা বিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভাইবার ব্যবহার করেছে।’
সামনের দিনগুলোতে নতুন ফিচার নিয়ে আসছে ভাইবার। এর মধ্যে রয়েছে: জরিপের জন্য কুইজ মোড (চালু হওয়ার প্রক্রিয়াধীন), রিমাইন্ডার্স ইন মাই নোটস ও মিডিয়া গ্যালারি এনহ্যান্সমেন্ট।