রাজনৈতিক দলের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছিল কয়েকদিন আগেই। এরপরই কড়া সিদ্ধান্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুকের। ব্যক্তিগত পেজের প্রোফাইল পিকচারে কোনও রাজনৈতিক দলের ছবি বা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখ ব্যবহার করা যাবে না।
সামনেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচন। তার আগেই এমন কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। ফেসবুক এই নির্দেশিকা জারি করেছে তাদের কর্মীদের জন্য। ফেসবুকের কোনও কর্মী রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা করার জন্য এই প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করতে পারবে না বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও বিতর্কিত কোনও ইস্যু যেমন- ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটারের মতো কোনও ঘটনাকে সামনে রেখে প্রোফাইল পিকচার তৈরি করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদন বলছে, ফেসবুকের কোনও কর্মী কোনও আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বা কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করেন, তা প্রকাশ করা যাবে না। নিরপেক্ষ থাকাই লক্ষ্য ফেসবুকের। ফেসবুকের মুখপাত্র জো ওসবোর্ণ এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানান একথা।
গত সপ্তাহেই ফেসবুকের সিইও মার্ক জুকারবার্গ জানান, সব ধরণের বিতর্ক এড়াতে ফেসবুক বিশেষ কিছু উদ্যোগ নিচ্ছে। খুব দ্রুত এগুলি কার্যকর করা হবে। কর্মক্ষেত্রে সঠিক পরিবেশ বজায় রাখতে ফেসবুকের এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী প্রমাণিত হবে বলেই আশা। তবে বিশেষ ফ্রেম ব্যবহার করা যেতে পারে, যা রাজনৈতিক দল বা কোনও ইস্যুকে সামনে তুলে ধরে।
উল্লেখ্য এমনিতেই ফেসবুকে বিগত কিছুদিন ধরে একাধিক বদল আনা হয়েছে। পাশাপাশি আরও কড়াকড়ি করা হয়েছে কোনরকম পোস্ট করার ক্ষেত্রে। তবে জানা গেছে আগামী পয়লা অক্টোবর থেকে বদলাচ্ছে নিয়ম। যদিও কিছুদিন ধরেই ফেসবুকের একাধিক গ্রাহক জানিয়েছিলেন বেশ কিছু নোটিফিকেশন পাচ্ছিলেন। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। কিন্তু জানানো হয়েছে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগের কোন কারণ নেই।
ফেসবুক প্রধান মার্ক জুকেরবার্গ জানিয়ে ছিলেন আগামী ১ অক্টোবর থেকে কোন ইউজারের পোস্ট যদি ফেসবুক নিয়মের বিরুদ্ধে যায় সে ক্ষেত্রে ফেসবুকের তরফে সংশ্লিষ্ট পোস্টের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। সেই পোস্ট ব্লক করা হতে পারে অথবা সেই পোস্ট মুছে দেওয়া হতে পারে। গ্রাহকদের কাছে ফেসবুকের আকর্ষণ ধরে রাখার জন্য তাদের তরফে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আনা হয়েছে একাধিক ফিচার। এবার আপডেট করা হল ফেসবুকের নিয়মাবলী।