ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টির চেষ্টা করছে ফেসবুক। ফেসবুক তাদের প্ল্যাটফর্মে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য সহজে ফান্ড বা অর্থসাহায্য খুঁজে পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। কিন্তু ফেসবুকের ফিচারটির অপব্যবহার করছে সাইবার দুর্বৃত্তরা। ব্যবসায় অনুদান বা ফান্ড দেওয়ার নামে দুর্বৃত্তরা নানা প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে। তাই সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা এ ব্যাপারে সতর্ক করেছেন।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ডিজিটাল ইনফরমেশন ওয়ার্ল্ড ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বের অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমস্যার মুখে পড়েছেন। তাঁদের ব্যবসার অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি পোষাতে নানা মঞ্জুরি দেওয়া হচ্ছে।
ফেসবুকের নতুন ফিচার ব্যবহার করে, তা প্রচার করা যাচ্ছে। সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কির গবেষকেরা এ ফান্ড ঘিরে দুর্বৃত্তদের কৌশলের বিষয়ে সতর্ক করেছেন।
ক্যাসপারস্কির বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ফেসবুকের অনুদানগুলো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য দরকারি হলেও বিষয়টি ঘিরে ফিশিং আক্রমণ চালাতে পারে দুর্বৃত্তরা। অনুদান দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি ব্যবসার মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে তারা। এ ধরনের প্রতারণার ক্ষেত্রে কোনো আর্টিকেল বা খবরের ভুয়া লিংক তৈরি করে দুর্বৃত্তরা। ভুয়া খবরে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য ফেসবুকের অর্থসাহায্যের কথা বলা হয়। এসব খবরের লিংক প্রতিষ্ঠিত কোনো গণমাধ্যমের খবরের আদলে তৈরি করতে পারে দুর্বৃত্তরা। প্রকৃতপক্ষে কোনো সংবাদপত্র যদি ফেসবুকের অর্থসাহায্য নিয়ে খবর প্রকাশ করে থাকে, তখন তার একটি ভুয়া সংস্করণ তৈরি করে ছড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
ক্যাসপারস্কির গবেষকেরা বলেন, যাঁরা করোনার সময় সামান্য অর্থসাহায্যের আশায় থাকেন, তাঁরা এ ধরনের লিংকে ক্লিক করে প্রতারণার মুখে পড়তে পারেন। সাইবার দুর্বৃত্তরা আইডি কার্ডের কপিসহ নানা স্পর্শকাতর তথ্য জেনে নিতে পারে। এমনকি অর্থ দাবি করতে পারে।
এ ধরনের লিংক সাধারণত হোয়াটসঅ্যাপের মতো মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ছড়ায় দুর্বৃত্তরা। পরে তা মানুষকে তাঁদের কন্ট্যাক্ট লিস্টে থাকা অন্যদের শেয়ার করার অনুরোধ জানায়। এভাবেই ছড়িয়ে পড়ে বিশেষ এ স্ক্যাম।