মোবাইল ফোন বিবর্তনের ধারাবাহিকতায় বর্তমানে স্মার্টফোন সবার হাতেই। স্মার্টফোন ব্যবহারে একে অপরের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে বেশ বৈচিত্র্য এসেছে। মোবাইলের ব্যবহার আগের মত শুধু কল করা বা মেসেজ আদান প্রদানেই সীমাবদ্ধ নেই। অনেকগুলো সফটওয়্যার এখন স্মার্টফোনে ব্যবহৃত হয়। হোয়াটসঅ্যাপ তাদের মধ্যে অন্যতম।
২০১৪ সালে ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে হোয়াটসঅ্যাপকে কিনেছিল ফেসবুক। বর্তমানে ইনস্টাগ্রাম, মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপকে এক জায়গায় আনার চেষ্টা চালাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। অনলাইনে যোগাযোগের ক্ষেত্রে অনেকেই এখন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। তবে যারা অনেক পুরোনো ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করছেন তাদের জন্য দুঃসংবাদ অপেক্ষা করছে।
আইওএস, অ্যান্ড্রয়েড ও উইন্ডোজ ফোনের পুরোনো সংস্করণ থেকে হোয়াটসঅ্যাপ তাদের সমর্থন পুরোপুরি সরিয়ে ফেলার ঘোষণা দিয়েছে। এর ফলে, কোটি কোটি পুরোনো স্মার্টফোন ব্যবহারকারী জনপ্রিয় এ মেসেজিং সেবাটি আর ব্যবহার করতে পারবেন না।
আইওএস ৮ অথবা পুরোনো অপারেটিং সিস্টেমের আইফোনে হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহার বছরের শেষে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া অ্যান্ড্রয়েড ২.৩.৭ অথবা তার চেয়ে পুরোনো সংস্করণের ফোনে চলবে না হোয়াটসঅ্যাপ।
গুরুত্বপূর্ণ যেসব ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ চালানো যাবে না এর মধ্যে রয়েছে আইফোন ৫-এর নিচের সব সংস্করণ, সব মাইক্রোসফট লুমিয়া স্মার্টফোন, এইচপি এলিট স্মার্টফোন, ২০১০ সালের আগে বাজারে আসা সব ধরনের অ্যান্ড্রয়েড ফোন। অ্যানড্রয়েড ফোনের মধ্যে রয়েছে গুগল নেক্সাস ওয়ান, স্যামসাং এপিক ফোরজি, মটোরোলা ড্রয়েড এক্স প্রভৃতি।
হোয়াটসঅ্যাপ চালাতে প্রয়োজন হলে অপারেটিং সিস্টেম হালনাগাদ করে নিতে হবে, অন্যথায় হোয়াটসঅ্যাপের বিকল্প অ্যাপগুলো ব্যবহার করা শুরু করতে হবে। অনেক পুরোনো অ্যাপ আছে যা যোগাযোগের ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপের বিকল্প হিসেবে পুরোনো ফোন সমর্থন করবে। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপ অতি জরুরি হলে নতুন সিস্টেমের দিকে যাওয়ার বিকল্প নেই।
প্রতি বছর অ্যাপ্লিকেশনগুলো তাদের ব্যবহারকারীর প্রয়োজন মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ আপডেট নিয়ে আসে। যার ফলে কিছু ডিভাইসে নতুন সংস্করণে মোড়া অ্যাপগুলি বেমানান হয়ে যায় এবং তাদের মধ্যে কিছু কাজ করা বন্ধ করে দেয়। আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েডের বেশ কিছু স্মার্টফোনে হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এই ফোন ব্যবহারকারীরা আর হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন না।