অনলাইনে অল্প বয়সী মেয়েদের যৌন হেনস্তা অভিজ্ঞতার কথা শুনে নিরাপত্তা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক।
রোববার (১১ অক্টোবর) ইন্টারন্যাশনাল গার্ল ডে’ উপলক্ষে মার্কিন টেক জায়ান্ট কোম্পানিটি কয়েকটি সেশনের আয়োজন করেছে। এবং তারা জানিয়েছে, সেখানে কয়েকটি সেশনের মাধ্যমে তরুণ সমাজকর্মীদের অভিজ্ঞতার কথা শুনবে।
ফেসবুক বলছে, এই আলোচনার মাধ্যমে তরুণীরা তাদের কথা তুলে ধরতে পারবে। তাতে তাদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রগুলো আরও ভালোভাবে চিহ্নিত করা যাবে।
ফেসবুকের নারী সুরক্ষা বিভাগের প্রধান সিন্ডি সাউথওয়ার্থ বলেছেন, আমরা মেয়েদের সরাসরি আলাপের সুযোগ দেয়ার বিষয়টি সব সময় গুরুত্ব দেই।
তিনি আরও বলেন, ‘ইন্টারনেটে নারীদের হেনস্তা একটি মারাত্মক সমস্যা। আমরা ইতিমধ্যে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি।’
ফেসবুকে মেয়েদের নিরাপত্তার বিষয়টি সব সময় আলোচনায় থাকে। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের জরিপ অনুযায়ী, ১৪ হাজার তরুণীর ৫৮ শতাংশ হেনস্তার শিকার। ওই জরিপে ২২ দেশের মেয়ে অংশ নেয়।
অনলাইনে হয়রানি এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন ব্যাপক ক্ষতির কারণ হতে পারে। কারণ এটা দ্রুত অনেকের কাছে পৌঁছে যায় এবং অনলাইনে অনির্দিষ্টকাল ধরে থেকে যেতে পারে।
ইউনিসেফের পর্যালোচনা অনুযায়ী, অন্য শিক্ষার্থীদের তুলনায় যারা অনলাইনে ভয়ভীতির শিকার হয়, তাদের অ্যালকোহল ও মাদকে আসক্ত হওয়ার এবং স্কুল ফাঁকি দেওয়ার হার বেশি।
এছাড়া তাদের পরীক্ষায় ফল খারাপ করা, আত্মসম্মান কমে যাওয়া ও স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দেওয়ার সমূহ আশঙ্কা থাকে। চরম পরিস্থিতিতে, অনলাইনে ভয়ভীতি প্রদর্শন এমনকি আত্মহত্যার দিকেও ঠেলে দিতে পারে।