২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর অর্থাৎ থার্টিফার্স্ট নাইটে রেকর্ড গড়েছে ফেসবুক। এইদিনে মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপ প্ল্যাটফর্মে সর্বোচ্চ অডিও ও ভিডিও কল হয়েছে। এর মধ্যে শুধু হোয়াটসঅ্যাপেই ভয়েস ও ভিডিও কল হয়েছে ১৪০ কোটি।
ফেসবুকের নিউজরুমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, হোয়াটসঅ্যাপে বিশ্বজুড়ে ১৪০ কোটি ভয়েস ও ভিডিও কল করা হয় বিদায়ী বছরের শেষ দিন, যা এ প্ল্যাটফর্মে একদিনে কলের রেকর্ড। গত বছরের একই দিনের তুলনায় হোয়াটসঅ্যাপে কল করার হার বেড়েছে ৫০ শতাংশ। ভিডিও কলের ক্ষেত্রে বড় প্রভাব ফেলেছে মেসেঞ্জারও। এদিন যুক্তরাষ্ট্রে গ্রুপ ভিডিও কল (তিনজনের বেশি) দ্বিগুণ হয়েছে।
ফেসবুকের তথ্য অনুযায়ী, নতুন বছর উদযাপন উপলক্ষে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে বিশ্বব্যাপী লাইভ বা সরাসরি সম্প্রচার করেছেন সাড়ে পাঁচ কোটি ব্যবহারকারী। অনেকেই মেসেঞ্জারে ব্যবহার করেছেন ইফেক্টস। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়েছে ‘২০২০ ফায়ারওয়ার্কস’ এআর ইফেক্টস।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা বলছেন, ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহার বাড়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ একটি ট্রেন্ড তুলে ধরছে। এখন এ ধরনের মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে মানুষ আরো বেশি সংযুক্ত থাকার অভ্যাস গড়ে তুলছে বলে তা আরো বেশি গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছে। ভিডিওতে সংযুক্ত থাকার বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠার কারণে ভবিষ্যতে তা কাজের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা আগে থেকেই পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছেন, ওয়ার্ক ফ্রম হোম বা বাড়িতে বসে কাজের বিষয়টি অনেক প্রতিষ্ঠান গ্রহণ করতে শুরু করবে। এতে তাদের পরিচালন খরচ যেমন কমে তেমনি উৎপাদনশীলতাও বাড়ে।