টেলিগ্রাম-এর প্রতি বছর অন্তত কয়েকশো মিলিয়ন ডলার অর্থের প্রয়োজন। আর তাই এই পে-ফর সার্ভিস চালু হবে। তবে, মেসেজিংয়ের ক্ষেত্রে আপাতত ফ্রি-তেই সার্ভিস পাবেন গ্রাহকরা
২০২১-এর শুরুতেই পে-ফর সার্ভিস লঞ্চ করতে চলেছে টেলিগ্রাম (Telegram)। গত সপ্তাহে একটি বিবৃতিতে সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা পাভেল ধ্রুব জানিয়েছেন, Telegram-এর প্রতি বছর অন্তত কয়েকশো মিলিয়ন ডলার অর্থের প্রয়োজন। আর তাই এই পে-ফর সার্ভিস চালু হবে। তবে, মেসেজিংয়ের ক্ষেত্রে আপাতত ফ্রি-তেই সার্ভিস পাবেন গ্রাহকরা।
পাভেল আরও জানিয়েছেন, এই সংস্থা অর্থাৎ টেলিগ্রাম বিক্রি করে দেওয়া কোনও পরিকল্পনা তাঁর নেই, যার ফলে তাঁকে ফান্ডিংয়ের বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। বিভিন্ন উপায়ে ফান্ডিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, এই সংস্থা রেভিনিউ জেনারেট করা শুরু করবে আগামী বছর থেকে। আর তার সঙ্গে বহু নতুন নতুন ফিচার Telegram-এ নিয়ে আসা সম্ভব হবে। যাতে গ্রাহক সংখ্যাও বাড়বে।
২০১৩ সালে পাভেল ও তাঁর ভাই নিকোলাই মিলে তৈরি করেন টেলিগ্রাম। প্রথমের দিকে সে ভাবে জনপ্রিয়তা না পেলেও গত কয়েক বছরে প্রায় সকলের ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে এই অ্যাপ। বর্তমানে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে এই অ্যাপের। ইরান, ভারত-সহ বেশ কয়েকটি দেশে এর জনপ্রিয়তা অত্যন্ত বেশি। সাধারণত, মেসেজ, সিনেমা, ছবি, ভিডিও শেয়ারিংয়ের জন্য এই অ্যাপকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এত দিন সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই চলেছে এই অ্যাপ। এই সমস্ত পরিষেবা উপভোগের জন্য একটিও টাকা দিতে হয়নি কাউকে।
কিন্তু পাভেল জানাচ্ছেন, এ ভাবে চলছে না আর। কোম্পানির বেশিরভাগ খরচই তিনি নিজের সঞ্চয় থেকে চালিয়ে গিয়েছেন। আর যে ভাবে মানুষ একে ভালোবাসছে, তাতে কিছু দিনেই ব্যবহারকারীর সংখ্যা বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে। তাই নির্দিষ্ট ফান্ডিংয়ের প্রয়োজন।
বিবৃতিতে তিনি আরও জানান, বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের চেষ্টা করা হবে। সে নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করা হয়েছে। পাশাপাশি স্টিকার-সহ আরও কয়েকটি উপায়ে আয়ের চেষ্টা করা হবে।
তবে, তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, বর্তমানে যে সব সুবিধা গ্রাহকরা ফ্রি-তে পাচ্ছে, তা ফ্রি’ই থাকবে। পাভেল বলেন, তাঁরা কিছু নতুন ফিচার আনতে চলেছে ব্যবসার জন্য ও পাওয়ার ইউজারদের জন্য। সেগুলির জন্য টাকা দিতে হতে পারে। তবে, যারাঁ সাধারণ কাজে টেলিগ্রাম ব্যবহার করেন, তাঁদের থেকে কোনও টাকা নেওয়া হবে না।
এর সঙ্গেই তিনি এটাও জানিয়ে দেন, টেলিগ্রাম-এ বিজ্ঞাপন চালু হলেও মেসেজের ক্ষেত্রে কোনও রকম বিজ্ঞাপন থাকবে না। কারও চ্যাটে বিজ্ঞাপন আসা খুবই বাজে পরিকল্পনা বলে মত পাভেলের। ফলে কারও কমিউনিকেশন যাতে নষ্ট না হয়, সে কথা মাথায় রেখে চ্যাটিংকে অ্যাড ফ্রি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।