গোপনীয়তা নীতিমালা-সংক্রান্ত পরিবর্তন নিয়ে তীব্র বিতর্কের মুখে রয়েছে ক্রস-প্লাটফর্ম মেসেজিং ও ভয়েস ওভার সেবা হোয়াটসঅ্যাপ। অসংখ্য ব্যবহারকারী হোয়াটসঅ্যাপ ছেড়ে যাচ্ছেন। চাপের মুখে ফেসবুকের সঙ্গে বৃহৎ আকারে ডাটা বিনিময় সম্পর্কিত প্রাইভেসি হালনাগাদ তিন মাসের জন্য পিছিয়ে দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। এমন বিতর্কের মধ্যেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাইবার নিরাপত্তা গবেষক রাজশেখর রাজহারিয়া দাবি করেছেন, হোয়াটসঅ্যাপের ওয়েব সংস্করণ ব্যবহারকারীদের মোবাইল নম্বর গুগল সার্চে মিলছে। খবর ইন্ডিয়া ডটকম।
রাজশেখর রাজহারিয়ার দাবি, হোয়াটসঅ্যাপ এসব নম্বর উন্মুক্ত করে দিয়েছে। এর ফলে হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েবের তথ্য গুগল সার্চ পেজে ইনডেক্স করার সময় মোবাইল নম্বরসহ উন্মুক্ত তথ্যগুলো স্বযংক্রিয়ভাবে দেখানো হচ্ছে। তার হাতে এমন অনেক প্রমাণ রয়েছে।
রাজশেখর রাজহারিয়ার দাবি সম্পর্কে এখনো মুখ খোলেনি ফেসবুক নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান হোয়াটসঅ্যাপ। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ব্যবহারকারীদের ৪ লাখ ৭০ হাজার অভ্যন্তরীণ কথোপকথনের লিংক উন্মুক্ত করে দেয়া ও গুগল সার্চে সেসব তথ্য প্রদর্শিত হওয়া নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। এরপর তাদের এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ব্যবহারকারীদের আশ্বস্ত করে বলা হয়, ব্যক্তিগত তথ্য সংবলিত পেজ লিংকে ‘নোইনডেস্ক’ ট্যাগ দেয়া হয়েছে এবং এরই মধ্যে গুগল সার্চে চলে যাওয়া পেজগুলোর তথ্য ইনডেক্স থেকে বাদ দিতে গুগলকে অনুরোধ করা হয়েছে।
গত ৪ জানুয়ারি গোপনীয়তা নীতিমালায় পরিবর্তন এনেছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। ওই সময় ব্যবহারকারীদের নোটিফিকেশন পাঠিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ সেবাসংক্রান্ত শর্তাবলি ও গোপনীয়তা নীতিতে পরিবর্তনের কথা জানায়। যেখানে বলা হয়, ব্যবহারকারীদের তথ্য আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ফেসবুকের সঙ্গে শেয়ার করবে হোয়াটসঅ্যাপ। অর্থাৎ নতুন গোপনীয়তা নীতিতে ব্যবহারকারী চাইলেও ফেসবুকের কাছে তথ্য পাঠানো ঠেকাতে পারবে না। হোয়াটসঅ্যাপের এমন ঘোষণায় সোস্যাল মিডিয়ায় তাত্ক্ষণিক বিতর্কের ঝড় ওঠে। অনেকেই ব্যবহারকারীদের তথ্য ফাঁসের আশঙ্কায় আঙুল তুলছেন মার্ক জাকারবার্গের মালিকানাধীন ফেসবুক ও তার অধীনস্থ হোয়াটসঅ্যাপের দিকে।