প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে অনলাইন প্রেম যেন তুচ্ছ ঘটনা। মানুষ যত বেশি ভার্চুয়ালের দিকে ঝুঁকছে, সম্পর্কগুলো ততই ‘স্বাদহীন’ হয়ে উঠেছে। আবার অনলাইনে গড়ে ওঠা প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে অর্থ খোয়ানোর ঘটনাও ঘটছে। অনেকের ক্ষেত্রে এসব সম্পর্ক আশীর্বাদও!
যুক্তরাজ্যের একটি ফাইন্যান্স কোম্পানি জানিয়েছে, ২০১৯ সালের চেয়ে গতবছর ব্যাংকের মাধ্যমে প্রতারকের কাছে টাকা পাঠানোর হার ছিল ২০ শতাংশ বেশি। ওই বছর প্রতারণার কারণে ৬৮ মিলিয়ন পাউন্ড খোয়া গেছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মতে, ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে এ প্রতারণা আরও বাড়তে পারে। টাকা খরচ বা পাঠানোর আগে ওই ব্যক্তি সম্পর্কে যাচাইয়ের পরামর্শ দিয়েছে তারা। কারণ অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রতারিত হলে শুধু পকেট কাটা যায়; কিন্তু প্রেমে প্রতারিত হলে হৃদয়টাও ভাঙে।
অ্যাকশন ফ্রড নামের একটি প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, গতবছর অনলাইনে প্রেমে প্রতারিত হওয়ার হার অনেক বেশি ছিল। এই পরিস্থিতির জন্য মহামারিও দায়ি। লকডাউনের কারণে সঙ্গী খুঁজতে মানুষ অনলাইনের উপর ভরসা করছে।
ডেটিং অ্যাপে নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে টার্গেট করে প্রতারকরা। প্রেমালাপ চালিয়ে ল্যাপটপ বা ফোন গিফট হিসেবে নেন। এরপর চিকিৎসা বা ব্যবসার প্রয়োজন দেখিয়ে মোটা অংকের অর্থ আদায় করে সটকে পড়েন।
প্রতারিত হয়ে অনেকেই লজ্জায় পড়ে থানায় অভিযোগ করেন না। তবে যারা অভিযোগ করেন কিছু অর্থ তারা উদ্ধার করতে পারেন। যেমন অ্যানা নামের এক নারী প্রেমিককে রোমানিয়ায় পাঠাতে ৩ লাখা ২০ হাজার পাউন্ড দিয়েছিলেন। থানায় অভিযোগ করার পর তিনি অর্ধেক টাকা ফেরত নিতে পেরেছেন।