একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মোবাইল ফোন থাকবে না এটা কখনো হতে পারে ? এটা তো কখনো কোনো যুক্তিসংগত কথা হতে পারে না। কেননা ইদানিং তো একজন পাগলেরও মোবাইল ফোন থাকে।
অনেকের হয়তো মোবাইল ফোন নাও থাকতে পারে ।অনেকের ভেঙ্গে যেতে পারে, আবার অনেকের হয়তো নষ্ট হয়ে যেতে পারে ।তাই বলে কি, মোবাইল ফোন না থাকলে মানুষ সেকেল মনে করবে ?
আপনার যদি মোবাইল ফোন না থাকে তাহলে হতাশ হবার কিছু নেই। কারন আপনার মতো আরও অনেক মোবাইলহীন সেকেলে রয়েছে যারা কিনা বিশ্ব বিখ্যাত তারকা ।যেনে অবাক হচ্ছেন তাই তো !
তাহলে চলুন সেই সকল মহামানবদের এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক !
জাস্টিন বিবারঃ
বিশ্ব বিখ্যাত এই পপ তারকা জানিয়েছে , “আগে আমি মোবাইল ফোন ব্যবহার করতাম ।তবে এখন সেটি ব্যবহার করতে খুবই বিরক্ত বোধ করি। কেননা সেটি সামলানোর মত ক্ষমতা আমার নেই। প্রয়োজনীয় কাজে আমি সাধারণত টেলিফোন ব্যবহার করি ।”
একবার ভেবে দেখুন এত বড় বড় মিউসিক কনটেন্ট সামাল দেওয়া এই ব্যক্তির ও নাকি একটি মোবাইল সময় সামাল দেওয়ার ক্ষমতা নেই ।
জাস্টিন বিবার আরও জানান , “আমার জগৎ জুড়ে থাকে কেবলমাত্র আমার মিউজিক ইন্সট্রুমেন্ট। মোবাইল ফোন বা সোশ্যাল মিডিয়ার দিকে নজর দেওয়ার বিন্দুমাত্র ফুরসত পাই না । কেবল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার জন্য একটু যা করতে হয়।”
টম ক্রুজোঃ
নামটা দেখে হয়তো ভেবাচেকা খাচ্ছেন ।সত্যি বিষয়টি অবাক করার। বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে টম ক্রুজো জানিয়েছেন মোবাইল ফোন ব্যবহার করার প্রতি তার খুব একটা আসক্তি নেই। টুকটাক কাজ সম্পাদন করার জন্য তিনি সাধারণত ট্যাবের সহযোগিতা নিয়ে থাকেন ।এছাড়াও কাছের মানুষদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য ম্যানেজারের সাহায্য নিতে হয়। নিকট আত্মীয়দের সাথে যোগাযোগ করার জন্য সাধারণত ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে থাকেন টম ক্রুজ ।
তবে তা ব্যবহার করেন মোবাইল ব্যতীত অন্য কোন আইসিটি ডিভাইসের মাধ্যমে, যেমনঃ ল্যাপটপ, ট্যাব ইত্যাদি।
আনুষ্ঠানিকতা ব্যতীত সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে খুব একটা আনাগোনা লক্ষ করা যায় না টম ক্রুজোর। তবে বিখ্যাত এই হলিউড তারকা জানিয়েছে অতিসত্বর একটি মোবাইল ফোন কিনে যোগাযোগ করার ঠিকানা সকলের উদ্দেশ্যে উন্মুক্ত করে দেবে হলিউডের অন্যতম হ্যান্ডসাম এই অভিনেতা।
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়
বাংলা চলচ্চিত্রের উজ্জ্বল মুখ শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে মোবাইল হাতে বেশ কিছু দৃশ্য দেখা গেলেও, বাস্তব জীবনে তিনি সম্পূর্ণ উল্টো ।এর পেছনে অবশ্য তার কঠিন যুক্তিও রয়েছে।
তিনি জানান, চারকোনা আকৃতির মোবাইল ফোনের মধ্যে বন্দি হয়ে থাকার তুলনায় তিনি বাস্তবের সামাজিক যোগাযোগের সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেন । আর এমনিতেও চার পাশে এত মানুষ থাকতে খুব একটা প্রয়োজন পড়ে না মোবাইল ফোনের ।
বরং তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা যেকোনো ধরনের খবর পৌঁছে দেয় পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে। প্রয়োজনের তাগিদে মাঝেমধ্যে ম্যানেজারের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকেন। পূর্বে একটি সেলফোন ব্যবহার করতেন। তবে কালক্রমে তা বিলীন হয়ে গেছে ।