বলা হয়ে থাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুরক্ষিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়া হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা সম্ভব নয়। যদিও চাইলে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আপনার গতিবিধির উপরে নজরদারি করা সম্ভব। হোয়াটসঅ্যাপ থেকে আপনার উপর নজর রাখতে পারেন যে কেউ! এখনই সতর্ক হয়ে যান। আপনি যখনই হোয়াটসঅ্যাপ ওপেন করেন তখনই যে কোন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রাহক দেখতে পাবেন যে আপনি অনলাইন রয়েছেন। কোন ভাবেই এই অপশন বন্ধ করার উপায় নেই। এর ফলে প্রাইভেসিতে আপোষ হয় বলেন মনে করছেন অনেকে।
এছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপের স্ট্যাটাস ট্র্যাকার অ্যাপ ব্যবহার করে যে কোন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রাহকের স্ট্যাটাসে নজরদারি করা সম্ভব। সেই অ্যাপে আপনি যে কোন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রাহকের নম্বর দিলেই সে শেষ কবে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেছিল জানিয়ে দেবে।
কয়েকটি হোয়াটসঅ্যাপ ট্র্যাকার অ্যাপ এই নজরদারিকে অন্য উচ্চতার নিয়ে গিয়েছে। সেখানে দ্বিতীয় একটি নম্বর দিলে দুটি নম্বরের অনলাইন হওয়ার সময় মিলিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয় যে তারা একসঙ্গে কথা বলেছিল কি না।
বিশেষজ্ঞদের মতে অনলাইন স্ট্যাটাস বন্ধ করা অত্যন্ত সাধারণ একটি ফিচার, যা হোয়াটসঅ্যাপের মতো জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপে নেই। অনলাইন ছাড়াও শেষ কখন কোন গ্রাহক অনলাইন ছিলেন তাও জানা যাবে কয়েকটি ট্র্যাকার অ্যাপ থেকে।
যদিও এই ধরনের ট্র্যাকার অ্যাপগুওলোকে বন্ধ করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপের মধ্যে কোন সেটিংস নেই। এই ভাবে নজরদারি এড়াতে নিজের ফোন নম্বর বদল করতে পারেন অথবা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার বন্ধ করে দিতে পারেন।
কয়েকটি ট্র্যাকার অ্যাপ দাবি করেছে তারা ভিকটিমের লোকেশন অ্যাকসেস পর্যন্ত পেয়ে যাচ্ছে। ক্রমশ হোয়াটসঅ্যাপের এই সব প্রাইভেসির গাফিলতি সামনে আসার কারণেই টেলিগ্রাম সিগন্যালের মতো মেসেজিং অ্যাপগুলো জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। ব্যক্তিগত জীবনের গোপনীয়তার আর কোন মূল্য থাকছে না হোয়াটসঅ্যাপ গ্রাহকদের কাছে।