নায়কের চরিত্রে অভিনয় করতে চান কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য কলিমউল্লাহ বলেন, ‘কোনো পরিচালক এমন প্রস্তাব দিলে আমি সানন্দে গ্রহণ করব’
বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে আলোচিত-সমালোচিত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। উপাচার্য হিসেবে আগামী ১৩ জুন, আনুষ্ঠানিকভাবে তার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। গত বুধবার (৯ জুন) দিবাগত রাত ৩টা ২০ মিনিটে একটি ক্লাস নিয়ে আবারও সমালোচিত ও ট্রলের শিকার হয়েছেন তিনি। এরইমধ্যে নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ অভিনীত সিনেমার একটি দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
সেখানে দেখা যায়, পুলিশে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা শহরের গডফাদারদের ধরার জন্য পুলিশের অনান্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিচ্ছেন।
https://www.facebook.com/100000382706532/videos/4282667681755946/
একজন উপাচার্য হয়েও সিনেমায় অভিনয় করা নিয়ে অনেকে যেমন নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন, পাশাপাশি অনেকে আবার বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখেছেন। তবে সার্বিক বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ।
কলিমউল্লাহ বলেন, ফেসবুকে যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, সেই সিনেমায় আমি প্রথম অভিনয় করি। “শ্যুটার” নামের সিনেমাটি ব্যাপক ব্যবসা সফল হয়। সিনেমাটিতে আমি ঢাকার পুলিশ কমিশনারের চরিত্রে অভিনয় করি।
নায়কের চরিত্রে অভিনয় করতে চান কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “কোনো পরিচালক এমন প্রস্তাব দিলে আমি সানন্দে গ্রহণ করব।”
ট্রল করা প্রসঙ্গে নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, “কেউ যদি আমার অভিনয় নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা এমন কি ট্রল করে তাহলে বুঝতে হবে অভিনেতা হিসেবে আমি স্বার্থক। কেন না একজন অভিনেতার প্রধান কাজ হচ্ছে দর্শককে আনন্দ দেওয়া।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়েও চলচ্চিত্রে অভিনয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি আমার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছি। এটা করতে গিয়ে কখনো কখনো আমি দিনে ২২ ঘণ্টা কাজ করে থাকি। কাজের ফাঁকে আমি যে অভিনয় করছি, এটা সবার ইতিবাচক হিসেবে দেখা উচিত। আমি মনে করি আমাকে দেখে অন্য কোনো উপাচার্যের মনে যদি অভিনয়ের সুপ্ত ইচ্ছেথাকে তাহলে সব সংশয় দূর করে তিনিও অভিনয়আসবেন।”