আধুনিক এই সময়ে সবাই ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা রাখায় ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন। ক্যাশ টাকা রাখলেও কয়েন খুব কমই দেখা যায়। কেউ কেউ আবার ১ বা ২ টাকার কয়েন না নিয়ে অন্যকিছু নিয়ে থাকেন কেনাকাটার সময়। অবাক হওয়ার তথ্য হলো পুরোনো দিনের সেই কয়েন থাকলেই জমা দিয়ে পেতে পারেন কয়েক লাখ টাকা।
ভারতের ২ টাকার কয়েন থাকলে কয়েক লাখ টাকা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে কয়েন থাকলেই হবে না। বিশেষ কয়েন থাকতে হবে। ১৯৯৪ সালে তৈরি কয়েনের পেছনে রয়েছে ভারতের তেরঙা। কুইকআর (Quickr) ওয়েবসাইটে এই কয়েনটির মূল্য ৫ লাখ টাকার দামের কথা বলা হয়েছে!
কেবল এই ওয়েবসাইটেই নয়, এ ধরনের অন্যান্য ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের নোট ও কয়েনের বিনিময়ে মোটা অংকের টাকা দেয়া হচ্ছে। ভারত স্বাধীন হওয়ার আগের সময়ে মহারানী ভিক্টোরিয়ার ছবি সংবলিত কয়েন বিক্রি হয় ২ লাখ টাকায়। ১৯৯৮ সালের পঞ্চম জর্জের আমলের একটি কয়েন ৯ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। কয়েনবাজার (CoinBazzar) ওয়েবসাইটেও বিভিন্ন ধরনের নোট ও কয়েন বিনিময় হচ্ছে।
ভারতের আরবিআই (রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া) সতর্কতা জারি করে জানিয়েছে, অনলাইনে পুরোনো কয়েন বা টাকা কেনাবেচার সময় কেউ যেন প্রতারণার শিকার না হয়। অনেকে জাল টাকা আপলোড করেন। কেউ কেউ প্রতারণার ফাঁদ পেতে আরবিআইয়ের নাম বা লোগো ব্যবহার করেন। তাই এক্ষেত্রে সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছে আরবিআই।