শ্রীলঙ্কার পর ভুল ফিল্ডিংয়ের কারণে হাতছাড়া হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচটিও। ফলে ব্যাপক সমলোচনা হচ্ছে ক্রিকেটারদের। এবার ক্রিকেটারদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে রাখতে নতুন পরামর্শ দিলেন মাশরাফি মুর্তজা।
ফিল্ডিং মিস আর নতুন কী বাংলাদেশের জন্য। এবার তার ছাপ পড়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও। কখনো সহজ ক্যাচ মিস আবার কখনো স্ট্যাম্পিং মিস। এই বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে সর্বমোট ১২টি ক্যাচ মিস করেছেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। এই তো সুপার ১২ তে লঙ্কানদের বিপক্ষে ক্যাচ হাতছাড়া করেছেন লিটন দাস। ঐ দুটো ক্যাচ হাতছাড়া না হলে হয়তো ম্যাচটি বাংলাদেশের পক্ষেই থাকতো।
এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও ক্যাচ মিস করতে দেখা যায় ফিল্ডারদের। এতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফুলে ফেঁপে উঠেছেন দর্শকরা। বাংলদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা বললেন ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশকে আরও একটু সাহসী হতে হবে। তিনি বলেন,
“আমাদের সবাইকে আরেকটু সাহসী হতে হবে। ফিল্ডিংটা হচ্ছে অনেক সাহসী একটা ব্যাপার।”
বর্তমান যুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব অনেক। খারাপ খেললেই ফেসবুক, টুইটারে ক্রিকেটারদের মুণ্ডপাত করা হয়। তবে স্কটিশদের কাছে হার, সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়রদের বেফাঁস মন্তব্য বা ক্যাচ মিসের কারণে যে সমলোচনা হচ্ছে মাশরাফি মনে করেন তা নিতে পারছে না বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। তাই যেকোনো আইসিসির টুর্নামেন্ট চলাকালীন ক্রিকেটারদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা চান তিনি। সম্প্রতি ‘দ্য তামিম ইকবাল শো’ নামক এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আর সত্যি বলতে, আমার কাছে মনে হয় বর্তমান প্রেক্ষাপটে, যেকোনো টুর্নামেন্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব খেলোয়াড়ের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করা উচিত। আমি এটা আমার সময়ে করতে পারিনি, তাই হয়তো বলা ঠিক না। কিন্তু বিসিবি থেকে কঠোর নিয়ম করা উচিত এ বিষয়ে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “কারণ, যে চাপগুলো আসে, এগুলো সম্পূর্ণভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে আসে। আজকাল খুব বাজেভাবে ক্রিকেটারদের আক্রমণ করা হয়। যদি ক্রিকেটাররা সেটা সহ্য করতে পারত, তখন ভিন্ন হিসাব হতো। কিন্তু এখন তো ক্রিকেটাররা এগুলো নিতে পারছে না। ফলে, এটা করা উচিত।”
ক্যাচ মিস, স্ট্যাম্পিং মিসে শুধু ক্রিকেটারদের দোষ দেখছেন না মাশরাফি। আঙুল তুললেন ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুকের ওপরও। মাশরাফির প্রশ্ন বাজে পারফরম্যান্সের কারণে ক্রিকেটাররা বাদ পড়লেও ফিল্ডিংয়ে উন্নতি না হওয়ায় কেন এখনো রায়ান কুককে রেখে দিয়েছে বিসিবি?
“দেখুন, ২০১৯ বিশ্বকাপে আমি ভালো পারফর্ম করতে পারিনি। ফলে, আমাকে দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং আমি বিষয়টাকে খুব পেশাদারির সঙ্গেই নিয়েছি। নিজেকে প্রমাণ না করতে পারলে আপনাকে সরিয়ে দেওয়া হবে, এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে দুই বছর ধরে ফিল্ডিং এমন হওয়া সত্ত্বেও ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক দলের সঙ্গে আছে এবং এর প্রমাণ আমরা আজকেও পেয়েছি।”