দেশের ১৬টি বাস কোম্পানিকে টিকটক ও ইউটিউবের জন্য ভিডিও ধারণ বন্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্ট ও জজ কোর্টের ৯ জন আইনজীবী এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) তাদেরই একজন অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
জানা যায়, হানিফ পরিবহন, শ্যামলী এন আর ট্রাভেলার্স, গ্রীন লাইন পরিবহন, এস আর ট্রাভেলস, এনা ট্রান্সপোর্ট, নাবিল পরিবহন, বাবলু এন্টারপ্রাইজ, সোহাগ পরিবহন, সেন্টমার্টিন পরিবহন, সৌদিয়া পরিবহন, ইউনিক সার্ভিস, গোল্ডেন লাইন পরিবহন, দেশ ট্রাভেলস, টি আর ট্রাভেলস, সাকুরা পরিবহন ও ইমাদ এন্টারপ্রাইজকে এই লিগ্যাল নোটিশে পাঠানো হয়।
নোটিশে বলা হয়, সাম্প্রতিককালে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, ঢাকা থেকে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহন সেবায় কিছু চালক বেপরোয়াভাবে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানোর কারণে বিভিন্ন সময়ে অনেক দুর্ঘটনা ঘটছে। এমনকি এসব দুর্ঘটনায় অনেক যাত্রী পঙ্গু হওয়াসহ নিহত পর্যন্ত হয়েছেন। একই সঙ্গে পরিবহনগুলোর অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। গাড়ি চালকদের বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর পেছনে একটি স্বার্থান্বেষী মহল বিভিন্ন সময়ে পরিচিত ও উৎসাহিত করে চলছে। মহাসড়কে এভাবে বাউলিবাজিতে মেতে উঠছে।
এই স্বার্থন্বেষী মহলের অধিকাংশ ব্যক্তিই ফেসবুক ও টিকটক ব্যবহার করেন। এইসব ব্যক্তি ফেসবুক ও টিকটক ছাড়াও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতে চ্যানেল খুলে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাতে চালককে উৎসাহ দিয়ে ভিডিও ধারণ করেন। সেগুলো পরে পোস্ট করেন এবং এর মাধ্যমে তারা অর্থ উপার্জন করেন।
সড়ক-মহাসড়কে দ্রুতগতিতে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো, ওভারটেকিং, বাউলি, ডিপার লাইট দেওয়াসহ উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত করা হচ্ছে, যা সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ সহ প্রচলিত আইন বিরোধী। এমতাবস্থায় নোটিশ গ্রহীতাকেসহ বাস কোম্পানির পক্ষ হতে চালকদের গাড়ি চালাতে অধিকতর সতর্কতা ও সচেতনতামূলক নোটিশ ইস্যু করার জন্য অনুরোধ করা হইল।