ব্যবহারকারীদের তথ্যের সুরক্ষা নিয়ে বৈশ্বিক চাপের মুখে রয়েছে শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম টিকটক। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইউরোপে আরো দুটি ডাটা সেন্টার স্থাপনের কথা নিশ্চিত করেছে প্লাটফর্মটির এক সিনিয়র কর্মকর্তা। খবর রয়টার্স।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টি বা বেইজিংয়ের কেউই ব্যবহারকারীর তথ্য দেখতে বা সেগুলোর ক্ষতি করতে পারবে না বলে সরকার ও নিয়ন্ত্রকদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছে টিকটক। কিন্তু এখন পর্যন্ত সে রকম কোনো সফলতা অর্জিত হয়নি। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রদেশে অ্যাপটির ব্যবহার বন্ধ করার পাশাপাশি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সার্বিক দিক বিবেচনায় চীনের বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন শর্ট ভিডিও প্লাটফর্মটি বর্তমানে ইউরোপে এর ডাটা সেন্টার বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এক ব্লগপোস্টে ইউরোপে টিকটকের অপারেশনস বিভাগের মহাব্যবস্থাপক ওয়াটারওর্থ এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘গত বছরে ঘোষিত সাইটের পাশাপাশি বর্তমানে আমরা আয়ারল্যান্ডে দ্বিতীয় ডাটা সেন্টার স্থাপনের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছি। তৃতীয় পক্ষের সহায়তায় এটি স্থাপন করা হবে। ওয়াটারওর্থ আরো বলেন, ‘আয়ারল্যান্ডে কার্যক্রমকে আরো পরিপূরক করতে আমরা ইউরোপে তৃতীয় ডাটা সেন্টার স্থাপনের বিষয়ে কাজ করছি। চলতি বছর থেকে ইউরোপের ব্যবহারকারীদের তথ্য স্থানান্তর করা হবে এবং ২০২৪ সাল পর্যন্ত চলমান থাকবে।
শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ২০২২ সালের আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত প্লাটফর্মটিতে ১২ কোটি ৫০ সক্রিয় মাসিক ব্যবহারকারী ছিল। মূলত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) অনলাইন কনটেন্ট নিয়মের অধীনে ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্টকে (ডিএসএ) নির্দেশ করা হয়েছে।
যেসব কোম্পানির ব্যবহারকারী ৪ কোটি ৫০ লাখের বেশি ডিএসএর নিয়ম অনুযায়ী সেগুলোকে বড় অনলাইন প্লাটফর্ম হিসেবে গণ্য করা হয়। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে রিস্ক ম্যানেজমেন্ট, এক্সটার্নাল অ্যান্ড ইনডিপেনডেন্ট অডিটিং, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানসহ গবেষকদের কোড অব কনডাক্ট অনুসরণের নির্দেশও দেয়া হয়।
সক্রিয় মাসিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রকাশের জন্য গতকাল পর্যন্ত অনলাইন প্লাটফর্ম ও সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্টদের সময় বেঁধে দিয়েছিল ইউরোপিয়ান কমিশন। বড় অনলাইন প্লাটফর্মগুলো এ নিয়ম মেনে কাজ করার জন্য আরো চার মাস সময় পাবে। এরপর কোম্পানিগুলোকে জরিমানা দিতে হবে বলে সূত্রে জানা গেছে।