অ্যাপ নামানোর (ডাউনলোড) হার ও ব্যবহারকারীর সংখ্যা বিচারে গত বছর টিকটকের শীর্ষে থাকার সম্ভাবনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা আর আলোর মুখ দেখেনি। শুধু তা–ই নয়, ২০২৩ সালে সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা বিচারে সেরা চারটি অ্যাপের তালিকায়ও জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হয়েছে চীনের ভিডিওনির্ভর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি। কারণ, বছরজুড়েই ব্যবহারকারীর সংখ্যা বিচারে একচেটিয়া প্রাধান্য বিস্তার করেছে মেটার তৈরি অ্যাপগুলো।
২০২৩ সালে সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা বিচারে শীর্ষে রয়েছে ফেসবুক। এরপরই রয়েছে মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম ও মেসেঞ্জার অ্যাপ।
বাজার বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্সর টাওয়ারের তথ্যমতে, টিকটকের প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক থাকলেও বর্তমানে তা নিম্নমুখী। ২০২২ সালে টিকটক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২ শতাংশ বাড়লেও ২০২৩ সালে ৩ শতাংশ কমেছে। ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে অনলাইন কেনাকাটার সুবিধা ‘টিকটক শপ’ চালুর পর থেকেই ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ার হার কমছে টিকটকে।
টিকটক শপের মাধ্যমে ভিডিও নির্মাতারা লাইভ ভিডিও এবং ফিডে পণ্য ট্যাগ সুবিধা যুক্ত করে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করার সুযোগ পেয়ে থাকেন। ফলে ব্যবহারকারীও টিকটক অ্যাপ থেকে সরাসরি বিভিন্ন পণ্য কিনতে পারেন। বিক্রেতারা স্বাগত জানালেও টিকটক শপের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে ব্যবহারকারীদের। তাঁদের দাবি, টিকটক শপের কারণে বিজ্ঞাপন বেশি দেখানো হচ্ছে। ফলে সাধারণভাবে টিকটকের ভিডিও দেখা সম্ভব হচ্ছে না।
বিজনেস ইনসাইডারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘রেডিট’-এ টিকটক শপের বিরুদ্ধে অনেক ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন। তাঁদের দাবি, টিকটক শপ সুবিধা অ্যাপটিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। টিকটক অ্যাপ এখন পণ্য কেনাবেচার মাধ্যম হয়ে উঠেছে।
একজন ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, ‘টিকটক ভিডিওতে শপ ফিচারের প্রচারণা দেখে আমি যথেষ্ট বিরক্ত। ভিডিও নির্মাতারা হয়তো আয় করার নতুন সুযোগ পাচ্ছেন কিন্তু এটি আমাকে টিকটক ব্যবহারে অনাগ্রহী করে তুলছে।’