সীমান্ত উত্তেজনার নতুন পর্যায়ে পৌঁছেছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সামরিক সংঘাত। বুধবার রাত ১টার কিছু পর থেকেই শুরু হয় এই সংঘর্ষ। পাকিস্তান জানিয়েছে, গভীর রাতে ভারতের চালানো বিমান হামলার পাল্টা জবাবে তারা পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে। খবর ডন।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী জানায়, ভারতের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ছয়টি স্থানে আঘাত হানে— যার মধ্যে রয়েছে পাঞ্জাব প্রদেশের শিয়ালকোট ও বাহাওয়ালপুর এবং জম্মু ও কাশ্মীর। ভারত এই অভিযানের কোডনেম ‘অপারেশন সিন্দুর’।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, ভারত তার নিজস্ব আকাশসীমা থেকেই এই হামলা চালিয়েছে।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার জানান, পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়ামূলক পদক্ষেপে প্রথম দুইটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয় রাত ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে। এরপর ভোর ৩টা ৪২ মিনিটে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন পিটিভি জানায়, পাকিস্তান বিমানবাহিনী আরো একটি ভারতীয় রাফায়েল যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে, যা আওয়ান্তিপোরা থেকে ১৭ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে ছিল।
ভোর ৪টার দিকে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জানান, ভারতীয় হামলায় এখন পর্যন্ত ৮ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। ভোর ৫টার পর প্রতিরক্ষা ও তথ্যমন্ত্রীরা আরো দুটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সকাল ৭টার দিকে তথ্যমন্ত্রী তারার একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ভারতীয় বাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখায় সাদা পতাকা উড়িয়ে পরাজয় স্বীকার করেছে।‘ সংবাদ সম্মেলনের পটভূমিতে সাদা পতাকা ওড়ানোর দৃশ্যও প্রচার করে পিটিভি নিউজ। তিনি বলেন, ‘ওদের বাধ্য করা হয়েছে সাদা পতাকা ওড়াতে।‘ তারার আরো দাবি করেন, সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একাধিক পোস্ট ধ্বংস করেছে পাকিস্তানি বাহিনী।
তিনি বলেন, ‘পহেলগামে হামলার বিষয়ে আমরা আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু ভারত আমাদের সেই প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে একতরফাভাবে হামলা চালিয়ে পালিয়ে গেছে। এটি তাদের জন্য লজ্জাজনক, কারণ তারা নিরীহ শ্রমিক ও সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করেছিল।‘
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, পাকিস্তান তার প্রতিক্রিয়া মূলত সামরিক লক্ষ্যবস্তুর ওপর কেন্দ্রীভূত করেছে এবং ভারতে কোনো বেসামরিক নাগরিককে টার্গেট করা হয়নি।