ল্যাপটপ বা নোটবুকে ইনোভেশনের দিক দিয়ে আসুস সব সময়ই সবার থেকে এগিয়ে থাকে । এবারও তার বিপরীত হয়নি ডুয়াল ডিসপ্লে ফিচারসহ নতুন ল্যাপটপ বাজারে আনছে আসুস। ল্যাপটপটির মডেল আসুস জেনবুক প্রো ডুয়ো। ল্যাপটপটি খুব শীঘ্রই দেশের বাজারে পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে ।
একটি নোটবুকে ডুয়াল ডিসপ্লে ফিচারটি সাধারণ মানুষের কাছে কিছুটা অদ্ভুদ লাগলেও ধীরে ধীরে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে নোটবুক নির্মাতা কোম্পানিগুলো। ইনোভেশনের সেই ধারাকে আরো উপরে নিয়ে যেতে আসুস তাদের কম্পিউটেক্স ইভেন্টে এনাউন্স করল দুটি ফুল সাইজ ডিসপ্লে সমৃদ্ধ নোটবুক সিরিজ।
আসুস জেনবুক প্রো ডুয়ো এর মূল আকর্ষণীয় ফিচার হচ্ছে তার ডুয়াল মাল্টি টাচস্ক্রীনের ডিসপ্লে কনফিগারেশন। মেইন ডিসপ্লে হিসেবে দেয়া হয়েছে ১৫.৬ ইঞ্চির ৪কে রেজোল্যুশনের HDR সাপোর্টেড OLED ডিসপ্লে যা এর আগে কোন মেইনস্ট্রিম নোটবুকে দেখা যায় নি। ডিসপ্লেটি হচ্ছে ১০০% DCI-P3 কালার গামুট সমৃদ্ধ এবং এর কন্ট্র্যাস্ট রেশিও হচ্ছে ১০০০০০ঃ১। যেহেতু OLED ডিসপ্লের সাথে এমন সব ফিচার পাচ্ছেন তাই আশা করছি এটির কালার ভাইব্রেন্স এবং একুরেসি কেমন হবে তা আপনাদের আলাদা করে বলতে হবে না।
স্ক্রিনপ্যাড প্লাসে এমন কিছু সফটওয়্যার দেওয়া হয়েছে যার মাধ্যমে এটাকে সেকেন্ডারি কন্ট্রোল প্যানেল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। দুটি ডিসপ্লেকে যেমন একটি মনিটরে পরিণত করা যাবে তেমনি দুটি ডিসপ্লেতে আলাদা আলাদা অ্যাপ চালু করেও কাজ করা যাবে। ল্যাপটপটিতে আছে ৮ কোর নবম প্রজন্মের ইন্টেল কোর আই৯ প্রসেসর, এনভিডিয়া জিফোর্স আরটিএক্স ২০৬০ জিপিইউ।
আসুস জেনবুক প্রো ডুয়ো এর সেকেন্ডারি ডিসপ্লেটি দেয়া হয়েছে কীবোর্ডের উপরের অংশে যেখানে সাধারণত স্পীকার বা খালি জায়গা থাকে। সেকেন্ডারি ডিসপ্লের রেজোল্যুশনও হচ্ছে 4K এবং তা কাজ করবে প্রথম ডিসপ্লের সাথে সিমলেসলি। অর্থাৎ, মাল্টিটাস্কিং এর জন্য এটি হচ্ছে একেবারেই পারফেক্ট।
মাল্টি টাচস্ক্রীনের কথা যখন উঠলই তখন এটি বলে নেয়া ভালো যে সেকেন্ডারি ডিসপ্লেকে আপনি বিভিন্নভাবে ব্যবহার করতে পারবেন। আপনি একটি এপ্লিকেশন যেমন ডকুমেন্টকে ডুয়াল ডিসপ্লের পুরো অংশ জুড়ে রাখতে পারেন। বা ধরুন আপনি প্রোগ্রামিং বা এনিমেশনের কোন কাজ করছেন প্রাইমারি ডিস্প্লেতে, সেকেন্ডারি ডিসপ্লেটি থাকতে পারে আপনার মিউজিক বা ইউটিউব প্লেলিস্ট ব্রাউজ করার জন্য। মাল্টিটাস্কিঙ্গের পসিবল কম্বিনেশন হচ্ছে সীমাহীন।