ব্যবহারকারীদের বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য তাদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের আগে অনুমতি চাইবে অ্যাপলের আইফোন অপারেটিং সিস্টেম আইওএস। অ্যাপল ব্যবহারকারীদের নানা তথ্য ডিফল্ট বা সাধারণ মানের অংশ হিসেবে হিসেবে সংগ্রহ করলেও আইওএস ১৫ থেকে ব্যবহারকারীর কাছ থেকে আগে অনুমতি নেবে প্রতিষ্ঠানটি।
বর্তমানে অ্যাপ স্টোর এবং নিউজে ব্যবহারকারীদের কোন বিজ্ঞাপনগুলো অ্যাপল দেখাবে, সেটা ঠিক প্রতিষ্ঠানটি করবে ব্যবহারকারী কোন কন্টেন্টগুলো পড়ছেন, কী কী কিনছেন এবং ডিভাইস থেকে কী সার্চ করছেন– সেই তথ্যের ভিত্তিতে।
এতোদিন অ্যাপল ওই তথ্যগুলো সংগ্রহ করেছে ব্যবহারকারীকে অবহিত না করে বা সরাসরি কোনো অনুমতি না নিয়ে। সেই কার্যপ্রণালীতে পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
‘অ্যাপ ট্র্যাকিং ট্রান্সপারেন্সি’র মাধ্যমে ডেভেলপারদের ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপনের জন্য ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক করেছিলো অ্যাপল। প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের বিজ্ঞাপন ব্যবসার ক্ষেত্রেও একই মান রক্ষার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে ভার্জ।
ডিভাইসে আইওএস ১৫-এর বেটা সংস্করণ চালু থাকলে, ব্যবহারকারী অ্যাপ স্টোর খুললে পপ-আপ হিসেবে সামনে আসবে ‘পার্সোনালাইজড অ্যাড’। বিজ্ঞাপনগুলো ব্যবহারকারীকে নতুন অ্যাপ, পণ্য এবং অন্যান্য সেবা খুঁজে পেতে সাহায্য করলেও ব্যবহারকারীর গোপনতা “ডিভাইস-জেনারেটেড আইডেন্টিফায়ারের মাধ্যমে এবং অ্যাপল আইডির সঙ্গে বিজ্ঞাপনের তথ্যের লিংক না করে” রক্ষা করে বলে দাবি করেছে অ্যাপল।
অ্যাপলের বিজ্ঞাপন নীতিমালা অনুযায়ী, বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে কোন ব্যবহারকারীর কাছে কোন বিজ্ঞাপন পৌঁছাবে সেটা ঠিক করে অ্যাপল। ডিভাইসের বিস্তারিত, অ্যাপ স্টোরের লেনদেন এবং অ্যাপল নিউজে পড়া খবর– এইসব তথ্যই সংগ্রহ করে বিবেচনায় নেয় অ্যাপল। তবে সেটিংস অ্যাপ থেকে ‘পার্সোনালাইজড অ্যাড’ বন্ধ করে রাখার সুযোগও আছে।
তবে ডেভেলপাররা যেভাবে ব্যবহারকারীর অনুমতি নেন আর অ্যাপল যেভাবে অনুমতি নিতে চাইছে, তার মধ্যে ভাষাগত পার্থক্য লক্ষণীয় বলে মন্তব্য করেছে দ্য ভার্জ। ডেলেপাররা অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে তাদের ‘ট্র্যাক’ বা অনুসরণ করার অনুমতি চান। একই কাজের ব্যাখ্যা দিতে অ্যাপল ব্যবহার করছে ‘পার্সোনালাইজড’ শব্দটি। শব্দ দুটি ভিন্ন অর্থ বহন করে বলে মন্তব্য করেছে সাইটটি।