স্মার্টফোনের একটি স্টকারওয়্যার বা স্পাইওয়্যার ফাঁস হওয়ায় ঝুঁকিতে রয়েছে হাজার হাজার স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য। এসব তথ্যের মধ্যে কল রেকর্ডিং/ভয়েস রেকর্ডিং, টেক্সট মেসেজ, ছবি, ব্রাউজিং হিস্ট্রি ও পছন্দের স্থান-সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে। খবর টেকরাডার।
গ্রাহক পর্যায়ে স্মার্টফোনের ওপর নজরদারির জন্য যে ধরনের স্টকারওয়্যার বা স্পাইওয়্যার ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেগুলোর মাধ্যমে একজন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব বলে এক প্রতিবেদনে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আমরা এ মুহূর্তে স্পাইওয়্যারের নাম বা এর ডেভেলপারের নাম প্রকাশ করতে পারছি না। কেননা এর ফলে সাইবার অপরাধীরা যেকোনো মুহূর্তে ঝুঁকিতে থাকা এসব তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে। সেই সঙ্গে স্পাইওয়্যার ডেভেলপারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও জানায় প্রতিষ্ঠানটি। কেননা এ সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষের নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
স্মার্টফোনে নজরদারির জন্য যেসব স্টকারওয়্যার ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেগুলোর অধিকাংশই ভুয়া নামে অন্য অ্যাপসের আড়ালে অবস্থান করে থাকে। ছদ্মবেশে থাকাকালে ব্যবহারকারীর মেসেজ, কল লগ, লোকেশন বা অবস্থানের তথ্য ও অন্যান্য ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ডের তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। একবার ডাউনলোড করার পর অনেকেই তাদের প্রিয় মানুষদের ফোনে নজরদারির জন্য পুনরায় এটি ব্যবহার করে থাকে। গ্রাহক বা ভোক্তা পর্যায়ে স্পাইওয়্যারের অবস্থার বিষয়ে তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তাজনিত এ সমস্যা সামনে আসে।
চলতি মাসের শুরুতে গুগল তাদের প্লে-স্টোর থেকে বেশকিছু স্টকারওয়্যার বিজ্ঞাপন সরিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে। এসব স্টকারওয়্যার এমন কিছু অ্যাপসের প্রচারণা চালাচ্ছিল যেগুলো গুগলের নীতিমালা ভঙ্গ করে।
এ বিষয়ে গুগলের একজন মুখপাত্র বলেন, নজরদারির ক্ষেত্রে আমরা কোনো স্পাইওয়্যারযুক্ত বিজ্ঞাপনকে সমর্থন দিই না। তাই তাত্ক্ষণিকভাবে আমরা এসব বিজ্ঞাপন অপসারণ করে দিই এবং ভবিষ্যতেও এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখব।