প্রযুক্তিনির্ভর বর্তমান বিশ্বে কম্পিউটার ছাড়া মানুষের জীবন যেন একেবারেই অসম্পূর্ণ। এরমধ্যে সহজেই বহনযোগ্য হওয়ায় ল্যাপটপ সবার কাছেই বেশ জনপ্রিয়। একটি ল্যাপটপ দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে তাতে প্রচুর টেম্প ফাইল জমে। সঙ্গে জমে ধুলোবালিও। এতে একদিকে যন্ত্রাংশ পুরোনো হতে থাকে, অন্যদিকে সফটওয়্যার আপডেট বা আপগ্রেড না করলে ল্যাপটপ হয়ে যায় স্লো বা ধীরগতির। এছাড়াও নানা কারণে স্লো হতে পারে ল্যাপটপটি। তবে স্লো হয়ে যাওয়া ল্যাপটপটি ফাস্ট করে নিতে পারেন কিছু সহজ উপায়ে। জেনে নেওয়া যাক সেই উপায়গুলো-
স্লো ল্যাপটপ ফাস্ট করার উপায়
ল্যাপটপ আপ-টু-ডেট রাখতে হবে: ল্যাপটপ সব সময় আপ-টু-ডেট রাখা দরকার। অর্থাৎ ল্যাপটপে যেন সফটওয়্যারের লেটেস্ট ভার্সন থাকে। তাই মাইক্রোসফটের পরামর্শ হচ্ছে, কখন আপডেট আসছে, সেদিকে নজর রাখতে হবে। তাতে ল্যাপটপের পারফরমেন্স ভাল হবে, পাওয়া যাবে আরও কিছু সুবিধা।
অব্যবহৃত অ্যাপ আন-ইনস্টল করতে হবে: কাজের সময় অ্যাপ ইনস্টল করেছেন অসংখ্য। কিছু কিছু এখন আর প্রয়োজন পড়ছে না। অব্যবহৃত এমন অ্যাপ আন-ইনস্টল করে ফেলেতে হবে। এতেও ল্যাপটপ ফাস্ট হবে অনেকটা।
রিস্টার্ট করতে হবে: ল্যাপটপ রিস্টার্ট করলে টেম্পরারি ক্যাশে জমে থাকা মেমোরি মুছে যায়। এতে ল্যাপটপ দারুণভাবে কাজ করবে। একাধিক ব্রাউজার ট্যাব খোলা থাকলেও কিছুটা স্লো হয়ে যায় ল্যাপটপ। তাই অপ্রয়োজনীয় ট্যাব বন্ধ রাখুন।
অপ্রয়োজনীয় স্টার্ট-আপ অ্যাপ ডিলিট করুন: ল্যাপটপ অন করার সময় দেখা যায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভিন্ন অ্যাপ চালু হয়ে যায়। এগুলো হলো স্টার্ট-আপ অ্যাপস। এ ধরনের অ্যাপ ল্যাপটপের পারফরমেন্সকে ধীর করে দেয়। মাইক্রোসফটের পরামর্শ হচ্ছে, এ ধরনের অ্যাপ নিষ্ক্রিয় করে নিন, ডিলিট করে দিন। এতে ভালো থাকবে আপনার প্রিয় ডিভাইসটি।
ভাইরাস ও ম্যালওয়্যার মুক্ত রাখুন: ভাইরাস কিংবা ম্যালওয়্যার ল্যাপটপের পারফরমেন্সে প্রভাব ফেলতে পারে। কাজের সময় অপ্রত্যাশিত পপ-আপ মেসেজ কিংবা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কোনো প্রোগ্রাম চালু হয়ে যাওয়া এর অন্যতম লক্ষণ। এই সমস্যার সহজ সমাধান হচ্ছে, ল্যাপটপে অ্যান্টিভাইরাস অথবা অ্যান্টিম্যালওয়্যার ইনস্টল করে নেওয়া। তাতে দ্রুতগতির হবে আপনার ল্যাপটপ। দরকারি কাজ সারতে পারবেন কম সময়ে।