গরমের দিনগুলোতে একটু স্বস্তি পেতে এসি ব্যবহার করছেন। আবার একটু বৃষ্টি নামলেই ঠান্ডা পড়ছে, তখন গিজারও ব্যবহার করছেন। এতে বাড়ছে বিদ্যুৎ বিল।
ইলেকট্রনিক এসব গ্যাজেট ব্যবহারে শান্তি এলেও মাস শেষে বিদ্যুৎ বিল দেখে মাথায় হাত। তবে আপনি কিছু পরিবর্তন আনতে পারলেই বিদ্যুৎ বিল সহজেই কমাতে পারবেন।
১. বাড়িতে বিদ্যুতের বিল কমাতে ঘরের টিউব লাইট সরিয়ে এলইডি বাল্ব লাগাতে হবে। বাজারে ২ ওয়াট থেকে ৪০ ওয়াট ক্ষমতার এলইডি বাল্ব পাওয়া যায়। যা আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী কিনতে পারেন।
২. এসব যন্ত্র ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ খরচ কমে যায়। এটি আপনার বিদ্যুৎ বিল কমাতে সাহায্য করে। ফ্রিজ খালি থাকলে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। তাই ফল ও সবজি সবসময় ফ্রিজে রাখা উচিত।
৩. এছাড়াও ফ্রিজ সবসময় নর্ম্যাল মোডে রাখলে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়। রাতে ঘুমানোর সময় অনেকেই ঘরের লাইট জ্বালিয়ে রাখেন। এতে অপ্রয়োজনীয়ভাবে বিদ্যুৎ বিল বেড়ে যায়, তাই সবসময় বাল্ব ও লাইট বন্ধ রেখে ঘুমান।
৪. পুরোনো ফ্যান সরান এবং বিএলডিএস ফ্যান ইনস্টল করুন। যদি আপনার বাড়িতে পুরানো ফ্যান ইনস্টল করা থাকে, তবে সেগুলি অবিলম্বে বদলে নেওয়া উচিত। এই ফ্যানগুলো ১০০ থেকে ১৪০ ওয়াটের হয়। যেখানে এখন বাজারে এসেছে নতুন প্রযুক্তির বিএলডিএস ফ্যান। এগুলো ৪০ ওয়াট পর্যন্ত এবং এতে বিদ্যুৎ খরচ অনেক কম হয়।
৫. এসি ব্যবহারের সময় বেশ কিছু সতর্কতা মেনে চলুন। যেমন- এসি এমন একটি তাপমাত্রায় সেট করুন যাতে গরম না লাগে। প্রয়োজন ফ্যান চালিয়ে নিন। এতেও কারেন্টের বিল কম আসে। আবার ইনভার্টার এসি ব্যবহার করতে পারেন। ইনভার্টার এসিতে এই ধরনের ব্যবস্থা দেওয়া হয়। যা বিদ্যুৎ খরচ কমায়।
৬. এসি এবং গিজার দুটোই অনেক বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে। তাই দুটো কখনোই একসঙ্গে চালাবেন না। তাহলে দেখবেন কিছুটা হলেও ইলেকট্রিক বিল কম আসবে।
৭. অনেকেই ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্টের স্যুইচ অফ করেন কিন্তু প্লাগ লাগানোই থাকে। এই অবস্থাতেও বিদ্যুৎ খরচ হয়। একে ‘ফ্যান্টম’ বা ‘স্ট্যান্ডবাই’ বলে। তাই ডিভাইস ব্যবহার না করলে সেটা আনপ্লাগ করতে হবে। এর ফলে অনেক বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে।
৮. দিনের বেলা যতটা পারা যায় প্রাকৃতিক আলো ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত আলো অযথা না চালালে বিলও অর্ধেক আসবে। এছাড়া অন্যান্য ইলেকট্রনিক গ্যাজেট অযথা চালিয়ে রাখবেন না। প্রয়োজন না হলে বন্ধ রাখুন।