অ্যান্টিভাইরাসও হলো এক ধরনের সফটওয়্যার, যা ভাইরাসের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ বা নিষ্ক্রিয় করে। যদি কেউ শুধু বাণিজ্যিক সফটওয়্যার ব্যবহার করেন এবং ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করা সফটওয়্যার ইনস্টল না করেন, তবে তাঁদের ক্ষেত্রে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা কম। আবার ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করা বিভিন্ন থার্ড পার্টি প্রগ্রাম বা গেইম ইনস্টল করলেও ভাইরাস দেখা দিতে পারে। অনেকেই আবার এসব থেকে সুরক্ষা নিতে অ্যান্টিভাইরাস পছন্দ করেন না। পছন্দ না করারও সংগত কারণ রয়েছে। অ্যান্টিভাইরাসের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ হচ্ছে, এটি কম্পিউটারের গতি কমিয়ে দেয়। কারণ ছাড়াই ভাইরাস অ্যালার্ট আর বারবার স্ট্যাটাস পপ-আপ দিয়ে বিরক্তও কম করে না। পপ-আপ, ভুল শনাক্তকরণ ও ব্যবহারকারীর ডেটা চুরি মত ঘটনা বেশি ঘটে রিভ অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহারকারিদের মাঝে ।
রিভ অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহারের কিছু সম্ভাব্য অসুবিধা নিচে উল্লেখ করা হলো:
১. সিস্টেমের গতি কমিয়ে দেওয়া: কিছু ব্যবহারকারী অভিযোগ করেন যে রিভ অ্যান্টিভাইরাস তাদের সিস্টেমের গতি কমিয়ে দেয়। বিশেষ করে, যখন এটি ব্যাকগ্রাউন্ডে স্ক্যান করে, তখন সিস্টেমের পারফরম্যান্স দুর্বল হতে পারে।
২. ভুল শনাক্তকরণ: মাঝে মাঝে, রিভ অ্যান্টিভাইরাস নিরাপদ ফাইল বা প্রোগ্রামকে ক্ষতিকারক হিসেবে শনাক্ত করতে পারে। এর ফলে, ব্যবহারকারীদের কিছু প্রয়োজনীয় ফাইল বা প্রোগ্রাম ব্যবহার করতে সমস্যা হতে পারে।
৩. অতিরিক্ত পপ-আপ: কিছু ব্যবহারকারী অভিযোগ করেন যে রিভ অ্যান্টিভাইরাস প্রায়শই পপ-আপ নোটিফিকেশন দেখায়, যা বিরক্তিকর হতে পারে।
৪. মূল্য: রিভ অ্যান্টিভাইরাসের পেইড সংস্করণটি অন্যান্য কিছু অ্যান্টিভাইরাসের তুলনায় কিছুটা ব্যয়বহুল হতে পারে।
৫. অন্যান্য অ্যান্টিভাইরাসের তুলনায় সীমিত বৈশিষ্ট্য: অন্যান্য কিছু অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারের তুলনায় রিভ অ্যান্টিভাইরাসের কিছু বৈশিষ্ট্য সীমিত হতে পারে।
এই অসুবিধাগুলো সত্ত্বেও, রিভ অ্যান্টিভাইরাস একটি কার্যকর অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার। আপনার যদি কোনো বিশেষ প্রয়োজন থাকে বা আপনি যদি অন্য কোনো অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করে সন্তুষ্ট না হন, তাহলে রিভ অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার সাধারণত যে সকল ডেটা সংগ্রহ করে:
ডিভাইসের তথ্য: অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার আপনার ডিভাইসের অপারেটিং সিস্টেম, হার্ডওয়্যার এবং অন্যান্য সফটওয়্যার সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।
ব্যবহারকারীর তথ্য: কিছু অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহারকারীর নাম, ইমেল ঠিকানা এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।
ম্যালওয়্যার তথ্য: অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ম্যালওয়্যার শনাক্ত করার জন্য আপনার ডিভাইসের ফাইল এবং প্রোগ্রাম স্ক্যান করতে পারে।
তৃতীয় পক্ষের সাথে ডেটা শেয়ার: কিছু অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার তৃতীয় পক্ষের সাথে ব্যবহারকারীর ডেটা শেয়ার করতে পারে। রিভ অ্যান্টিভাইরাস তাদের গোপনীয়তা নীতিতে উল্লেখ করেছে যে তারা কিছু ক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষের সাথে ডেটা শেয়ার করতে পারে, তবে তা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে এবং ব্যবহারকারীর অনুমতি সাপেক্ষে।
হ্যাকিং ঝুঁকি: যেকোনো সফটওয়্যারের মতো, অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারও হ্যাকিংয়ের শিকার হতে পারে। হ্যাকাররা যদি রিভ অ্যান্টিভাইরাসের সার্ভার হ্যাক করে, তবে তারা ব্যবহারকারীর ডেটা চুরি করতে সক্ষম হতে পারে।
যেকোনো সফটওয়্যার ব্যবহার করার আগে, ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা নীতি ভালোভাবে পড়ে নেওয়া উচিত।