নতুন ফোন কিনছেন? ডিসপ্লে নিয়ে দ্বিধায়? আজকের প্রতিবেদনে জেনে নিন অ্যামোলেড ও এলসিডি ডিসপ্লের পার্থক্য, সুবিধা-অসুবিধা এবং কোনটা আপনার জন্য ভালো।
টার্গেট কীওয়ার্ড: অ্যামোলেড ডিসপ্লে বনাম এলসিডি, AMOLED vs LCD Bangla, কোন ডিসপ্লে ভালো স্মার্টফোনে, AMOLED ভালো নাকি LCD
অ্যামোলেড ডিসপ্লে কী?
AMOLED (Active Matrix Organic Light Emitting Diode) হলো এক ধরনের ডিসপ্লে টেকনোলজি যেখানে প্রতিটি পিক্সেল নিজে আলো ছড়ায়। এতে আলাদা ব্যাকলাইট দরকার হয় না।
বিশেষত্ব:
-
দীপ্তিশীল কালার ও কনট্রাস্ট
-
“True Black” দেখায় কারণ কালো পিক্সেল পুরো বন্ধ থাকে
-
তুলনামূলকভাবে পাতলা ও ফ্লেক্সিবল
-
কম পাওয়ার খরচ (ডার্ক মোডে)
এলসিডি ডিসপ্লে কী?
LCD (Liquid Crystal Display) ডিসপ্লেতে ব্যাকলাইটের মাধ্যমে আলো তৈরি হয়, যা পর্দার পেছনে থাকে এবং লিকুইড ক্রিস্টাল দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়।
বিশেষত্ব:
-
তুলনামূলক সস্তা
-
রঙ কিছুটা বেশি স্বাভাবিক (Natural)
-
সূর্যের আলোতে দৃশ্যমানতা ভালো
-
স্ক্রীন বার্ন-ইনের ঝুঁকি নেই
মুখোমুখি তুলনা: AMOLED vs LCD
বিষয় | AMOLED | LCD |
---|---|---|
কালার ও কনট্রাস্ট | উজ্জ্বল ও গভীর | তুলনামূলক কম |
ব্যাটারি ব্যাকআপ | বেশি (ডার্ক মোডে) | কম |
দাম | বেশি | কম |
স্ক্রীন বার্ন-ইন | সম্ভাবনা আছে | নেই |
সূর্যের আলোতে দৃশ্যতা | কিছুটা কম | তুলনামূলক ভালো |
ফ্লেক্সিবিলিটি | উচ্চ | কম |
কাদের জন্য কোন ডিসপ্লে?
-
ফটোগ্রাফি/ভিডিও লাভারদের জন্য — AMOLED
-
স্টুডেন্ট বা অফিস ইউজারদের জন্য — LCD
-
গেমার ও ডিজাইনারদের জন্য — AMOLED
-
বয়সভিত্তিক ও দীর্ঘক্ষণ পড়ার কাজ — LCD