১৫ মাসের বেশি সময় পর সোমবার রেকর্ড উচ্চতায় উঠেছে বিটকয়েনের মূল্য। ফেইসবুকের ক্রিপ্টোকারেন্সি পরিকল্পনা সামনে আসার কয়েকদিনের বিটকয়েনের মূল্য ছাড়িয়েছে ১১ হাজার মার্কিন ডলার।
কয়েনডেস্ক-এর বিটকয়েন প্রাইস ইনডেক্স-এর তথ্যমতে সোমবার এক সময় এর বাজার মূল্য পৌঁছে ১১৩০৭.৬৯ ডলারে। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে পর এটিই বিটকয়েনের সর্বোচ্চ দাম। দিনের পরের ভাগে প্রতি বিটকয়েনের দাম কমে হয়েছে ১০৬২৪ ডলার– খবর সিএনবিসি’র।
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে রেকর্ড ১৯ হাজার ডলারের বেশি দাম ওঠে প্রতি বিটকয়েনের। সোমবারের দাম বিনিয়োগকারীদেরকে আবারও সেই স্মৃতির কথা কিছুটা স্মরণ করিয়েছে বলে ধারণা করা যেতে পারে। ২০১৮ সাল এবং ২০১৯ সালের শুরুর দিকে অনেক ওঠানামা করেছে বিটকয়েনের মূল্য। এ সময় প্রতি বিটকয়েনের মূল্য তিন হাজার ডলারেও নেমেছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে আবারও বাড়তে শুরু করেছে বিটকয়েনের মূল্য। মূল প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রিপ্টোকারেন্সি-সম্পর্কিত প্রকল্পে নজর দেওয়ায় বেড়েছে বিটকয়েনের দাম। মূলত ফেইসবুকের ক্রিপ্টোকারেন্সি লিব্রার ঘোষণা আসার পরই বাড়তে শুরু করে বিটকয়েন মূল্য।
ব্লকচেইন স্টার্টআপে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান কেনেটিক ক্যাপিটাল সহ-প্রতিষ্ঠাতা জিহান চু বলেন, “দুইটি বড় কারণে মূল্য বেড়েছে, এক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এমন ধারণা তৈরি হয়েছে যে বিটকয়েন হলো ডিজিটাল যুগের মানসম্পন্ন বৈধ সঞ্চয় মাধ্যম। আর দুই ফেইসবুকের লিব্রা ক্রিপ্টোকারেন্সি উন্মোচনের মাধ্যমে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান প্রধান এখন ক্রিপ্টোকারেন্সিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে বাধ্য হচ্ছেন।”
বিটকয়েনের পেছনের মূল প্রযুক্তি হলো ব্লকচেইন। ইতোমধ্যেই ফেইসবুকের এই প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজনীতিবিদ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকাররা, যারা এই ক্রিপ্টোকারেন্সির অগ্রগতিতে নজর রাখছেন।
চলতি বছর বিটকয়েনের মূল্য বেড়েছে মোট ১৭০ শতাংশ। বিটকয়েনের দাম বাড়ায় ইথেরিয়ামের মতো ডিজিটাল মুদ্রার দামও বেড়েছে। চলতি বছর ইথেরিয়ামের দাম হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ।