ছোট্ট একটি স্মার্টওয়াচ। সেটির মাধ্যমে হাতের তালু বা বাহু হয়ে উঠতে পারে ইন্টারেকটিভ স্ক্রিন বা টাচস্ক্রিন।
লুমিওয়াচ নামে এমন একটি স্মার্টওয়াচের প্রটোটাইপ বানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত কার্নেজি মেলন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। এটিকে বলা হচ্ছে অনআর্ম প্রজেকশন স্মার্টওয়াচ। এ ডিভাইস ৪০ বর্গসেন্টিমিটার স্থানকে ইন্টারেকটিভ স্ক্রিন বানিয়ে ফেলতে পারে।
এছাড়া এটি দ্বিমাত্রিক ফিঙ্গার ট্র্যাকিং প্রযুক্তি সমর্থন করে। এতে রয়েছে ১৫ লুমেন প্রজেকশন মডিউল এবং শরীরের যেকোনো স্থানকে টাচস্ক্রিন বানিয়ে ফেলার মতো টাচ সেন্সর!
স্মার্টওয়াচটিতে রয়েছে ১.২ গিগাহার্টজের কোয়ালকম কোয়াডকোর প্রসেসর, ৭৬৮ মেগাবাইট র্যাম, ৪ গিগাবাইট ফ্ল্যাশ মেমোরি এবং ৭৪০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ঘণ্টার ব্যাটারি। এতে ব্লুটুথ ও ওয়াইফাই সুবিধাও রয়েছে। এটির অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড ৫.১। টানা প্রজেকশন চললে ব্যাটারি ব্যাকআপ এক ঘণ্টার বেশি পাওয়া যায় না। তবে প্রজেকশন ছাড়া একবার চার্জেই সারা দিন চলে।
গবেষকরা বলছেন, প্রটোটাইপ মডেলটির দাম পড়তে পারে ৬০০ ডলার। তবে আকার ও ওজন কিছুটা বেশি মনে হতে পারে। সূত্র: দ্য ভার্জ