আদিকাল থেকেই মানুষের শরীরের নানা দিক পরিবর্তন হয়ে আসছে। মূলত মানুষের চলাফেলা, আচার আচরণ ও কর্মক্ষেত্রের পরিবেশসহ নানা কারণে এই পরিবর্তন ঘটে। গবেষকরা বলছেন, ২১০০ সাল নাগাদ মানুষের শরীরের যে পরিবর্তন আসবে তা আসলেই ভয়াবহ। আর এসবের মূলে রয়েছে প্রযুক্তি।
আমাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদেরা অনেক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। উপকার হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু মানুষের ক্ষতির দিকটা অনেকেরই মাথায় নেই। ঘুম থেকে উঠেই আমরা স্মার্টফোন কিংবা ল্যাপটপে বুঁদ হয়ে থাকি। ঘুমানোর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত বেশির ভাগ সময়ই প্রযুক্তিতে ডুবে থাকি আমরা। দীর্ঘ সময় প্রযুক্তি পণ্য ব্যবহারে প্রতিনিয়ত আমাদের শরীরে বিভিন্ন পরিবর্তন হচ্ছে।
দ্য মিরর নামের যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যম মানুষের শারীরিক পরিবর্তন নিয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে বেশ কিছু স্থিরচিত্রও যুক্ত করা হয়েছে। এতে যে চিত্র ফুটে উঠেছে তাতে চক্ষু চড়কগাছ হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না। দেখা গেছে, সেসময়ে মানুষের মেরুদণ্ড থাকবে বাঁকানো। এর মূল কারণ ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় ধরে কম্পিউটারের সামনে বসে থাকা। মাথা বাঁকিয়ে স্মার্টফোনের দিকে তাকিয়ে থাকলেও একই ক্ষতি করে।
দ্য মিররের ওই প্রতিবেদনে আরো জানানো হয়, ২১০০ সালে মানুষের ঘাড় ও মাথা সংলগ্ন অঞ্চলের ভয়াবহ পরিবর্তন দেখা যাবে। হাঁড়গুলো উঁচু হয়ে পাখির বাঁকানো ঠোট কিংবা হুক অথবা শিংয়ের মতো উঁচু হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া মানুষের মস্তিস্ক সঙ্কুচিত ও ঘনীভূত হবে।
ধারণা করা হচ্ছে ওই সময়ে মানুষের হাত থাকবে বাকানো। অর্থাৎ একজন মোবাইল ব্যবহারকারী যখন হাতে স্মার্টফোন ধরে থাকে তখন তার তালু যেমন থাকে ভবিষ্যতে ঠিক তেমন থাকতে পারে মানুষের হাতের তালু। কনুই থাকতে পারে ৯০ ডিগ্রি বাঁকানো। এছাড়া চোখে ছাঁনি পড়াসহ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগতে হতে পারে সে সময়ের মানুষদের।