কিস্তিতে ওয়ালটনের একটি ফ্রিজ কিনেছিলেন ফেণীর কাঠমিস্ত্রি মোহাম্মদ ইয়াছিন। ফ্রিজটি কেনার পর তার মোবাইল ফোন থেকে ম্যাসেজের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করেন। এর কিছুক্ষণ পরেই ওয়ালটনের কাছ থেকে ফিরতি ম্যাসেজ আসে তার মোবাইলে। তিনি ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন! প্রথমে বিশ্বাসই করেননি। যখন বুঝলেন, তখন খুশিতে আত্মহারা।
গত রবিবার (৭ জুলাই) একাডেমী রোড ওয়ালটন প্লাজার সামনে ইয়াছিনের হাতে প্রাপ্ত টাকার চেক তুলে দেয়া হয়। সেসময় উপস্থিত ছিলেন ফেণী শহর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক পারভেজুল ইসলাম হাজারী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুশফিকুর রহমান পিপুল, ওয়ালটন ফেণী জোনের এরিয়া ম্যানেজার সোহেল রানা, ওয়ালটন প্লাজা সেলস অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট-২ এর প্রধান মো. আরিফুল ইসলাম, প্লাজা সেলস অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট-৪ এর প্রধান রাজীব কুমার দাস, একাডেমী রোড ওয়ালটন প্লাজা ম্যানেজার সাজেদুল ইসলাম, এসএসকে রোড প্লাজা ম্যানেজার ইমরুল কায়েসসহ স্থানীয় ব্যক্তিগণ।
উল্লেখ্য, এর আগের দিন ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন চাঁদপুর জেলার উত্তর মতলবের পাঁচআনি গ্রামের মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ জাকির।
ক্রেতা ইয়াছিন পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। স্ত্রী, এক ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে থাকেন ফেণীর ধর্মপুরে। অনেকদিন ধরেই ফ্রিজ কেনার কথা ভাবছিলেন। কিন্তু টাকা যোগাড় করতে পারছিলেন না। এরইমধ্যে চলতি মাসে ফেণী শহরে ফ্রিজের ক্রেতাদের জন্য ঘোষিত ‘কে হবে আজকের মিলিয়নিয়ার’ শীর্ষক ক্যাম্পেইনের প্রচারণা দেখে একাডেমী রোডের ওয়ালটন প্লাজায় আসেন ইয়াছিন।
তিনি জানান, “প্লাজায় এসে জানতে পারি ১ জুলাই থেকে কোরবানি ঈদ পর্যন্ত ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করলে প্রতিদিনই এক মিলিয়ন বা দশ লাখ টাকা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া এক লাখ টাকা পর্যন্ত নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার কিম্বা অসংখ্য পণ্য ফ্রি পাওয়ারও সুযোগ রয়েছে। আছে সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের কিস্তি সুবিধাও। এসব জানার পর গত বুধবার ১০ হাজার ডাউনপেমেন্ট দিয়ে ৩ বছরের কিস্তিতে ২৫ হাজার ৩’শ টাকা মূল্যের একটি গ্লাস ডোর ফ্রিজ কিনি এবং তৎক্ষণাৎ রেজিস্ট্রেশন করি। কিছুক্ষণ পরেই মোবাইলে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার ম্যাসেজ পাই। প্রথমে বিশ্বাস করিনি। কিন্তু, পরে দেখলাম- সত্যিই তা পেয়েছি।”
ইয়াছিন বলেন, “ওয়ালটন ফ্রিজ দেখতে অনেক সুন্দর, দাম কম। ডিপ ও নরমাল অংশও প্রায় সমান। যা অন্যান্য কোম্পানির ফ্রিজে দেখি নাই। আবার আত্বীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ অনেকেই ওয়ালটন ফ্রিজ, টিভি ব্যবহার করছেন। তাদের সেসব পণ্য খুব ভালো চলছে। সেজন্য নিজেও ওয়ালটন ফ্রিজ কিনলাম।”
অনলাইনে দ্রুত সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদানের লক্ষ্যে সারা দেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে ওয়ালটন। রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ক্রেতার নাম, ফোন নম্বর এবং ক্রয়কৃত পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এর ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে ফেললেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত কাক্সিক্ষত সেবা মিলবে। সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমে ক্রেতাদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর লক্ষ্যে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে ওয়ালটন।